এই খাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে সাত জনের দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পান একটি পরিবার নর্মদার খালে আত্মহত্যা করতে চলেছে। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু তত ক্ষণে খালের জলে ঝাঁপ দিয়েছিল গোটা পরিবার। খালে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পোশাক খুলে রেখেছিলেন প্রত্যেকেই। মোবাইলও খালপাড়ে রাখা ছিল। দেহের তল্লাশিতে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ডাকা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। রাতের দিকে বাকি ছ’জনের দেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। যে ছ’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল রাতে, তাঁদের হাত বাঁধা ছিল একই দড়িতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গালিপা গ্রামের বাসিন্দা শঙ্করলাল। তাঁর নিজস্ব একটি কৃষিখামার রয়েছে। বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক জনের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। তা ছাড়া দিন কয়েক আগেই গ্রামেরই কয়েক জন ওই পরিবারকে হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। একটি পঞ্চায়েত বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন দম্পতি। সে কারণেই কি নিজেদের শেষ করে দিল শঙ্করলালরা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আত্মহত্যা না কি খুন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সাঁচোরের সার্কল অফিসার রূপ সিংহ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy