Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
BMS

কেন ধর্মঘটে নেই বিএমএস, প্রশ্ন

বিজেপি সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডাকা ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে সঙ্ঘের শ্রমিক ইউনিয়ন বিএমএসের শামিল হতে আপত্তি কোথায়— সেই প্রশ্ন তুলছে বাকি সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি।

-ফাইল চিত্র।

-ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৮
Share: Save:

শ্রমিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় ধর্মঘটে শামিল হয়েছে সিআইটিইউ (সিটু), এআইটিইউসি-র মতো বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন। কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ধর্মঘটীদের মধ্যে নাম থেকেছে কংগ্রেসের কর্মী সংগঠন আইএনটিইউসি-র। তা হলে বিজেপি সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডাকা ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে সঙ্ঘের শ্রমিক ইউনিয়ন বিএমএসের শামিল হতে আপত্তি কোথায়— সেই প্রশ্ন তুলছে বাকি সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি।

অভিযোগ, ২০১৫ সাল থেকেই এই সমস্ত ইউনিয়নের একযোগে ডাকা ধর্মঘটকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে বিএমএস। যদিও সঙ্ঘের কর্মী সংগঠনটির পাল্টা দাবি, শ্রমিকদের সমস্যাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শুধুমাত্র কেন্দ্রবিরোধী রাজনীতির মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।

২৬ নভেম্বর দেশ জুড়ে ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সিন্হাকে চিঠি দিয়েছিল দশটি ট্রেড ইউনিয়ন। আইএনটিইউসি-র শীর্ষ নেতা জি সঞ্জীব রেড্ডিকে দেওয়া চিঠিতে বিনয়ের দাবি, শ্রম বিধিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তা মসৃণ করা-সহ বিভিন্ন সরকারি সিদ্ধান্তে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। শ্রমিকদের স্বার্থে তাঁরা অন্যান্য ইউনিয়নের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তেও তৈরি।

আরও পড়ুন: কোভিডের প্রতিষেধক কবে ভারতে পাওয়া যাবে, জানেন না প্রধানমন্ত্রী

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এমন অনেক বিষয়ে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, যা ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় পড়ে না। আর দ্বিতীয়ত, যখন কংগ্রেস কিংবা কোনও বিরোধীশাসিত রাজ্যে শ্রমিক বিরোধী নীতি ঘোষণা হচ্ছে, তখন চুপ করে থাকছে অনেক কর্মী সংগঠনই। তাই ধর্মঘট থেকে সরে থাকার এই সিদ্ধান্ত।

কিন্তু সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের প্রশ্ন, “যে সাত দফা দাবিতে ধর্মঘট, তার মধ্যে তো নরেন্দ্র মোদীকে গদি ছাড়তে বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে বিতর্কিত কৃষি বিল প্রত্যাহার, কর্মীবিরোধী শ্রম বিধি ফেরানো, দরিদ্রদের হাতে মাসে ৭,৫০০ টাকা নগদ ইত্যাদির কথা। এগুলি কি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়? তা হলে আর ধর্মঘটে পিছিয়ে যাওয়া কেন?” সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি মনে করাচ্ছে, ২০০৯ ও ২০১১ সালে ডাকা ধর্মঘটে বাকিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল বিএমএস-ও। কিন্তু ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটের আগে শেষ মুহূর্তে, ২৮ অগস্টের বৈঠকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে তারা।

আরও পড়ুন: মোদী থামালেন খট্টরকে, কেজরী চান হাজার শয্যা

সেই ধারা এখনও বহমান। বিএমএসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “ধর্মঘটে শামিল না-হলেও, দেশ জুড়ে লাগাতার প্রতিবাদ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।”

অন্য বিষয়গুলি:

BMS Nationwide Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy