Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Ayodhya

অযোধ্যায় মসজিদ চত্বরে হাসপাতাল

অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
অযোধ্যা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৫
Share: Save:

অযোধ্যার ‘নতুন’ মসজিদের শিলান্যাসের জন্য প্রজাতন্ত্র দিবসকেই (২৬ জানুয়ারি) বেছে নিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কমিটি। তার আগে ওই মসজিদের নীল-নকশা প্রকাশ করা হবে আগামী শনিবার।

অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেখানে তৈরি নতুন মসজিদের সঙ্গে যে পুরনো বাবরি মসজিদের নকশার মিল থাকবে না, তা আগেই জানিয়েছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার স্থাপত্য বিদ্যা বিভাগের ডিন এস এম আখতার। মসজিদের নকশা তৈরির মূল দায়িত্ব বর্তেছে যাঁর উপরে। কিন্তু ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) এ দিনের ঘোষণার পরে নকশা ছাপিয়ে নেট-দুনিয়ায় লোকের মুখে-মুখে ফিরেছে মসজিদ চত্বরে বিভিন্ন প্রস্তাবিত মানবিক উদ্যোগ। নজর কেড়েছে শিলান্যাসের দিন নির্বাচনও।

নব কলেবর

• পাঁচ একরে মসজিদ। সঙ্গে ৩০০ শয্যার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। পরিকল্পনা কমিউনিটি কিচেন, গ্রন্থাগার নির্মাণেরও।

• হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা। কর্মী জোগাতে কাছেই নার্সিং এবং প্যারামেডিক কলেজ।

• কমিউনিটি কিচেন থেকে দিনে দু’বার খাবার আশপাশের এলাকার দরিদ্রদের জন্য।

• বাবরি মসজিদের তুলনায় নতুন মসজিদ আয়তনে বড়। কিন্তু নকশায় পুরনোর সঙ্গে মিল একেবারেই নেই।

আইআইসিএফের সম্পাদক আতহার হুসেনের কথায়, ‘‘অযোধ্যায় মসজিদের শিলান্যাসের জন্য ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারিকে দিন হিসেবে বেছেছে অছি পরিষদ। কারণ, প্রায় সাত দশক আগে এই দিনেই কার্যকর হয়েছিল দেশের সংবিধান। যা বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। ওই আদর্শই প্রকল্পিত মসজিদের মূল ভিত্তি।’’

আখতার জানিয়েছেন, গোলাকৃতির এই মসজিদে এক সঙ্গে নমাজ পড়তে পারবেন ২,০০০ জন। কিন্তু শুধু প্রার্থনাস্থল হিসেবে এই চত্বরকে আটকে না-রেখে সেখানে তৈরি হবে ৩০০ শয্যার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। সেখানে নিখরচায় চিকিৎসার বন্দোবস্ত যেমন থাকবে, তেমনই আশপাশ থেকে আসা দরিদ্রদের প্রতি দিন নিখরচায় দু’বার ‘ভাল’ খাবার জোগাবে কমিউনিটি কিচেন। থাকবে গ্রন্থাগার। হয়তো অভাবী পড়ুয়াদের জন্য পাঠশালাও। আগে শোনা গিয়েছিল জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনাও। আখতারের কথায়, ‘‘আড়ে-বহরে এই মসজিদ বাবরি মসজিদের তুলনায় বড় হবে। কিন্তু নকশায় মিল থাকবে না। চত্বরের একেবারে মাঝখানে থাকবে হাসপাতাল।’’ ইসলাম ধর্মের সেবার আদর্শের সঙ্গে যার সাযুজ্য রয়েছে বলে তাঁর দাবি।

অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি নিয়ে আইনি টানাপড়েনের সময়ে অনেকে বলেছিলেন, মন্দির-মসজিদ তৈরির বদলে বরং সেখানে তৈরি হোক ভাল হাসপাতাল কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে অবশ্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেখানে শিলান্যাস হয়েছে রামমন্দিরেরই।

অন্য বিষয়গুলি:

Ayodhya Babri Masjid Ram Temple
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy