অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরুতে ‘চকোলেট বোমা’ ফাটার পর রাস্তার ধারে পড়ে ছিল স্কুটার। ওই স্কুটারটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাজি। ছবি: সংগৃহীত।
অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরুতে ‘চকোলেট বোমা’ ফেটে মৃত্যু হল এক জনের। আহত হয়েছেন ছ’জন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্কুটারে দীপাবলির বাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। স্কুটারের পিছনে আরও এক জন বসে ছিলেন। স্কুটারের চালক এবং পিছনে বসা ব্যক্তির মাঝে একটি বড় বস্তা রাখা ছিল। তাতেই রাখা ছিল বাজি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই বস্তায় অনেক ‘চকোলেট বোমা’ও রাখা ছিল। একটি সরু গলি দিয়ে বড় রাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আচমকাই বড় রাস্তার মুখে একটি রাস্তার উপর গ়র্তের মধ্যে পড়ে স্কুটারটি। তাতে ব্যাগের ভিতর থেকে চকোলেট বোমাগুলি পড়ে যায়। পর মুহূর্তেই বিস্ফোরণ!
দুর্ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে রাস্তার মোড়ে জনা পাঁচেক দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের পাশ দিয়ে স্কুটারটি যাওয়ার সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জোরালো বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় রাস্তা। ধোঁয়ার ভিতর থেকে কোনও রকমে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন দু’জন ব্যক্তি। উভয়েই কানে হাত দিয়ে রেখেছিলেন। সম্ভবত বিস্ফোরণের আকস্মিকতায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সিসিটিভি ফুটেজে যে তীব্রতার বিস্ফোরণ দেখা গিয়েছে, তাতে ‘চকোলেট বোমা’র ভিতরে কী ধরনের বারুদ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চকোলেট বোমাগুলিতে প্রায় আইই়ডির সমান তীব্রতা ছিল। স্কুটারটি সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশকর্মীরা। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্কুটারের ভিতরে কী ধরনের বাজি রাখা ছিল, তা নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy