সপ্তাহান্তে হবে প্রচার করবে বিজেপি। ফাইল চিত্র
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার দু’বছর আগে এ বারের সাধারণ বাজেটকে রাজনৈতিক প্রচারের অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। তার জন্য প্রচারে নামছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার তিনি বাজেট নিয়ে ভার্চুয়াল সভা করবেন। এর পরে রাজ্য রাজ্যে গিয়ে মোদীর মন্ত্রীরা বোঝাবেন নির্মলা সীতারামনের বাজেট কেন সাধারণের জন্য কল্যাণকর। এই লক্ষ্যে প্রায় এক পক্ষকালের কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মলার বাজেট পেশ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যে। একই সঙ্গে রাজ্যকে বলা হয়েছে কোথায় কী কর্মসূচি নেওয়া হবে তা রাজ্য থেকে জেলাস্তরের নেতাদের কাছে পাঠাতে হবে। দলের বিভিন্ন মোর্চা নেতৃত্বকেও বাজেট নিয়ে প্রচারে নামতে হবে।
আনন্দবাজার অনলাইন আগেই জানিয়েছিল যে, মঙ্গলে নির্মলার বাজেট নিয়ে বুধবার বেলা ১১টা থেকে দলের কর্মীদের জন্য একটি ভার্চুয়াল সভা করবেন মোদী। বড় পর্দা লাগিয়ে সেই সভার সম্প্রচার করতে হবে বুথ স্তরে। যোগ দিতে হবে দলের সাংসদ, বিধায়ক, নেতা থেকে বুথ স্তরের কর্মীদের। এ বার বাজেট পেশের পরে যে নির্দেশ এসেছে তাতে মূল প্রচার পর্ব চলবে পর পুর দুই সপ্তাহান্তে। বাজেট অধিবেশন চলায় দেশের সব বিজেপি সাংসদেরই দিল্লিতে থাকার কথা। তাই আগামী ৫ ও ৬ এবং ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বত্র জেলায় জেলায় হবে বাজেট নিয়ে প্রচার। সব সাংসদকে নিজের নিজের লোকসভা এলাকায় একটি করে সাংবাদিক বৈঠক করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশ, সর্বত্র সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে বাজেট সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।
আগামী দুই সপ্তাহ শনি ও রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তো বটেই সেই সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মন্ত্রীরা রাজ্যে রাজ্যে সফর করবেন। লক্ষ্য একটাই, বাজেট নিয়ে প্রচার। সাংবাদিক বৈঠক ছাড়াও আলোচনা চক্র, বিশিষ্টজন এবং বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সব রাজ্যকে এখন থেকেই এর জন্য আয়োজন শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারা ওই আলোচনাগুলিতে অংশ নেবেন তাঁদের এখন থেকে স্থান ও কাল জানিয়ে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে দেশজুড়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখবেন তেমনটা করতে হবে রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতাদেরও। তাঁদের বক্তব্যও বুথ স্তরে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বক্তার তালিকায় রাখতে হবে সমাজে প্রভাব রয়েছে এমন বিশিষ্টজনদের। একই ভাবে দলের বিভিন্ন মোর্চাকেও আলাদা আলাদা কর্মসূচি নিতে হবে। এ ছাড়াও দলের রাজ্যস্তরের ওয়েবসাইটে বাজেটের ভাল বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে।
বিজেপি এই কর্মসূচি নিয়ে খুবই কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এতটাই কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছেন যে, মোদীর বক্তৃতা শোনার কর্মসূচি-সহ বাকি যেখানে বাজেট নিয়ে যা হবে তার ছবি সংগ্রহ করে রাখতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে। কর্মসূচির প্রমাণ হিসেবে সেইসব ছবি দলীয় পোর্টালে আপলোডও করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy