ছবি: সংগৃহীত।
এনআরসিকে ধরেই অসমে ২০২১-র ভোট বৈতরণী পেরোতে চাইছে বিজেপি৷ তাই বিধানসভার অধিবেশনে হোক বা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা, বিজেপি নেতারা একেই খুঁচিয়ে তুলছেন৷ সে জায়গায় অর্ধসত্য বলতেও পিছপা হচ্ছেন না৷
এনআরসি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়াদের নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই৷ ব্যক্তিবিশেষের কথা আলাদা৷ কারণ সীমান্ত জেলাগুলিতে ২০ শতাংশের ও বাকি জেলায় ১০ শতাংশের নথি পুনরায় পরীক্ষার যে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য ও কেন্দ্র, সুপ্রিম কোর্ট এক বছর আগেই তা খারিজ করে দিয়েছে৷ ফলে এই সময়ে যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৬৭ জনের নাম ওঠেনি, শুধু তাদের নাগরিকত্বের ব্যাপারটি এনআরসি কর্তৃপক্ষের দেখার কথা৷ বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকেরই নাম ওঠা সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷ কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের সকলের নাম এনআরসিতে উঠলেও এক জনকে বিদেশি মনে করা হয়েছে৷ বিজেপি নেতারা সে সব জেনেই বলতে শুরু করেছেন, তাঁরা সীমান্ত জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ ও অন্য জেলায় ১০ শতাংশ নাগরিকের নথির ফের পরীক্ষা চেয়ে হলফনামা দিয়েছেন৷ শীর্ষ আদালতে খারিজ হওয়ার অংশটুকু আর উল্লেখ করছেন না৷ না মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, না সংসদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি৷ মন্ত্রী পাটোয়ারি গত সপ্তাহেই বিধানসভার অধিবেশনে হলফনামা পেশের কথা বললেন৷ সর্বানন্দ সোনোয়ালও এর দু’দিন পরে বিজেপির প্রদেশ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে একই কথা শোনান৷ তাঁরা শুধু হলফনামা পেশের কথা বলে থেমে যাওয়ায় ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷ আর সেখানেই বুঝি সার্থকতা খুঁজছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy