—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া গাঁধীর ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা, এবং তার পরে অন্য নেতাদের পীড়াপীড়িতে ফের সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ঘরোয়া মহলে ঠাট্টা তামাসা করলেও বিজেপির প্রথম সারির নেতারা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। তবে উমা ভারতীর মতো নেত্রী এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বেশ কড়া সুরেই কংগ্রেসকে বিঁধেছেন। রাহুল গাঁধীর মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের ইস্তফা দিতে চাওয়ার প্রসঙ্গকে ‘কাব্যিক বিচার’ আখ্যা দিয়েছেন এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা অনেকেই বলছেন, এ দিন নতুন করে দায়িত্বে ফিরে কার্যত দলে নিজের নিয়ন্ত্রণ মজবুত করলেন সনিয়া গাঁধী। সম্ভবত সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্ব তড়িঘড়ি এ বিষয়ে সরকারি ভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে। তবে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মানেই যে গাঁধী পরিবার— সেই প্রসঙ্গে তুলে তারা মস্করা করতে ছাড়েনি। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র মন্তব্য করেন— ‘‘কংগ্রেস এমন একটি স্কুল, যেখানে সব ছাত্র বেশ মন দিয়ে পড়াশোনা করে, কিন্তু ফার্স্ট সব সময়ে হয় হেডমাস্টারের ছেলে।’’ এর পরে তিনি আবার বলেন, ‘‘সত্যিই সভাপতি হওয়ার সত্যিই অনেক প্রার্থী আছেন কংগ্রেসে। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, রিহান বঢরা...!’’ বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী বলেন, ‘‘গাঁধী-নেহরু পরিবারতন্ত্র এখন সঙ্কটে। কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই দলে কে কোন পদে থাকল, তা অর্থহীন। কংগ্রেসের এখন উচিত বিদেশি গাঁধীদের বাদ দিয়ে স্বদেশি গাঁধীর শরণে ফেরা।’’
দুপুরে খবর আসে, রাহুল নতুন নেতৃত্বের দাবি তোলা ২৩ জন নেতার বিজেপি-যোগের অভিযোগ করায় ইস্তফা দিতে চেয়েছেন গুলাম নবি আজাদ। এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি টুইটে মন্তব্য করেন, ‘আমার বিরুদ্ধেই বরাবর বিজেপি-যোগের অভিযোগ তুলতেন আজাদ। এ বার ওঁর নেতা তাঁর দিকেই সেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন! একেই বলে পোয়েটিক জাস্টিস। ৪৫ বছর গোলামি করে উনি এই পুরস্কার লাভ করলেন।’ ওয়েইসি বলেন, ‘মুসলিমরা এখন ভাবছেন, এত দিন এই দলটির ওপর আস্থা রেখে কী ভুলটাই করে এসেছেন!’
আরও পড়ুন: পিএম-কেয়ার্সের টাকা পাবে বিহার
আরও পড়ুন: টিকা তৈরিতেও আত্মনির্ভরতার ভাবনা কেন্দ্রের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy