Advertisement
১২ জানুয়ারি ২০২৫
QR Code Fraud

কিউআর কোড বদলে দিয়ে টাকা হাতাচ্ছে প্রতারকেরা! নয়া কৌশলে ভোপালে বহু দোকানে প্রতারণা

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারকেরা দোকানে দোকানে যাচ্ছে, দোকানি একটু অসাবধান হলেই তাঁর লাগানো কিউআর কোড বদলে নিজেদের সঙ্গে আনা কিউআর কোড বসিয়ে দিচ্ছেন।

কিউআর কোড বদলে দিয়ে প্রতারণা। প্রতীকী ছবি।

কিউআর কোড বদলে দিয়ে প্রতারণা। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৫
Share: Save:

দোকানে লাগানো কিউআর কোড বদলে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারকেরা। প্রতারণার নয়া কৌশলে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে ভোপালে। সেখানে একের পর এক দোকানে এ ভাবেই প্রতারণা করে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু দোকানই নয়, পেট্রল পাম্পগুলিতেও একই ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

কী ভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা? নয়া এই কৌশল কী?

নগদ লেনদেনের চেয়ে অনলাইনে লেনদেন অনেক বেড়েছে। ছোট বা বড় অঙ্কের টাকাও অনলাইনে লেনদেন করা হয়ে থাকে দোকানে। অনলাইনে লেনদেন বেশি হওয়ায় দোকানিরাও নিজেদের অ্যাকাউন্টের কিউআর কোড দোকানের সামনে রেখে দেন। যাতে গ্রাহকেরা ওই কোড স্ক্যান করে টাকা মেটাতে পারেন। ছোট হোক বা বড় সব দোকানেই এই কিউআর কোড লাগানো বোর্ড দেখা যায়। কিন্তু সেই কিউআর কোডই বদলে দিয়ে প্রতারণার নয়া কৌশলে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে ভোপালে।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারকেরা দোকানে দোকানে যাচ্ছে, দোকানি একটু অসাবধান হলেই তাঁর লাগানো কিউআর কোড বদলে নিজেদের সঙ্গে আনা কিউআর কোড বসিয়ে দিচ্ছেন। হুবহু একই রকম দেখতে। ফলে সহজেই ফারাক বোঝা যাচ্ছে না। আর ক্রেতারা সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই দোকানির বদলে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কিউআর কোডের বোর্ডের উপর আবার নিজেদের কিউআর কোডের স্টিকার সেঁটে দিচ্ছেন। ফলে সেটিও দোকানির পক্ষে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে বেশ কয়েকটি দোকানে এ রকম কাণ্ড ঘটায় শোরগোল পড়ে যায়। দোকানিরা জানাচ্ছেন, ক্রেতারা কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। এ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গেও কখনও কখনও ঝামেলা হচ্ছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এক ক্রেতা টাকা দেওয়ার পরেও যখন তাঁকে দোকানি জানান কোনও টাকা ঢোকেনি, তখনই শুরু হয় ঝামেলা। দোকানিকে যে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন মোবাইলে ইউপিআই অ্যাপের লেনদেনের তথ্য দেখান। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, দোকানির অ্যাকাউন্টে নয়, স্ক্যান করে যে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেটি ‘ছোটু তিওয়ারি’ নামে অন্য এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আর এখান থেকেই প্রতারণার নয়া কৌশল ধরা পড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি দোকান নয়, এ রকম প্রায় ৩০টি দোকানে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারকদের ধরার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

QR Code Fraud Bhopal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy