ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসাবে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করলেও সরকার টিকিয়ে রাখতে পারেনি বিজেপি। ভবিষ্যতে তাই সে রাজ্যে আর কোনও শরিকের হাত ধরে নয়, ‘একলা চলো’-র নীতিই নিতে চায় নরেন্দ্র মোদীর দল। রবিবার নভি মুম্বইয়ে দলের রাজ্য সম্মেলনে সে বার্তাই দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, পরের বার একক দল হিসাবেই ফের মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারকে অপ্রাকৃতিক এবং অবাস্তব আখ্যা দিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে জগৎ প্রকাশের বার্তা, ‘‘ভবিষ্যতে এ রাজ্যে অন্য সব দল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’
গত অক্টোবরে রাজ্যের ২৮৮টি আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও একাই ১০৫টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। অন্য দিকে, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল ৪৪টি আসন। মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন শিবসেনা। এর পর সেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের সরকার গঠন প্রক্রিয়ার আলোচনার মাঝে পুরোপুরি নাটকীয় ভাবে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সমর্থনে রাতারাতি সরকার গঠনও করেছিল বিজেপি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সেই সরকার স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৮০ ঘণ্টা। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগেই দেবেন্দ্রর সঙ্গ ছেড়ে দেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত। মুখ বাঁচাতে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া কার্যত আর কোনও গতি ছিল না দেবেন্দ্রর কাছে। এর পর রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেন সেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে অজিতের নামোল্লেখ না করে এ দিন জগৎ প্রকাশের মন্তব্য, ‘‘কিছু সার্থান্বেষী মানুষ তাঁদের সার্থসিদ্ধির জন্য বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যের উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই জোট সরকার। কারণ, জগৎ প্রকাশের মতে, ‘‘এই সরকার অপ্রাকৃতিক এবং অবাস্তব।’’
আরও পড়ুন: ‘চাপে পিছোচ্ছি না, সিএএ চালু করবই’, বারাণসীতে হুঙ্কার মোদীর
আরও পড়ুন: ‘খুনিদের ক্ষমা করা হবে না’, ট্রাম্পের সফরের আগেই ভিডিয়োতে হুমকি জইশের
ভবিষ্যতে ফের বিজেপিই যে ক্ষমতা দখল করবে, সে বিষয়েও আশা প্রকাশ করেছেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে একাই জিতবে বিজেপি। দেবেন্দ্র ফডণবীসের নেতৃত্বে এ রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছিল। তবে দুঃখের কথা, তা এখন থমকে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy