ছবি: সংগৃহীত।
বাঁশ বাঁধা হচ্ছে বিজেপি দফতরে। খাটানো হবে শামিয়ানা। বৃহস্পতিবার ফল মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায়। সকলে প্রস্তুত, হুল্লোড় হবে সে দিন। সব সমীক্ষাই বলছে, ঝড় তুলে দুই রাজ্যে ফিরছে বিজেপি। কিন্তু সন্ধে গড়াতেই কপালে পড়ল ভাঁজ!
‘ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস’ আজ হরিয়ানার বুথ-ফেরত সমীক্ষার যা ফল দেখাল, তাতে একার জোরে আর সরকার গড়তে পারছে না নরেন্দ্র মোদীর দল। ৯০ আসনের বিধানসভায় জয়ের জন্য দরকার ৪৬। কিন্তু মেরেকেটেও বিজেপি ৪৪-এর কোঠা পেরোতে পারছে না। ৩২টি থেকে বড়জোর ৪৪-এ গিয়ে থমকে থাকতে হতে পারে। বিরোধী কংগ্রেসও যে জাদুসংখ্যা ছুঁতে পারছে, এমনও নয়। ৩০ থেকে ৪২-এর মধ্যে থেমে যাচ্ছে তারাও। ফলে ত্রিশঙ্কু।
সরকার গড়ার চাবিকাঠি তবে কার হাতে? প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী দেবীলালের নাতির ছেলে দুষ্মন্ত চৌটালা। যিনি আইএনএলডি ভেঙে নিজের নতুন দল গড়েছেন, জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)। অথবা কিছু নির্দলের সঙ্গ নিয়েও সরকার গড়া যেতে পারে। কারণ, দুষ্মন্ত কিংবা নির্দল— উভয়েরই আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ৬-১০।
বিজেপিকে এই সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা অবশ্য বিশ্বাসই করতে চাইছে না। তাদের অনেকের বক্তব্য, মাত্র পাঁচ মাস আগে লোকসভায় দশটি আসনই নরেন্দ্র মোদীর ঝুলিতে ভরে দিয়েছে হরিয়ানা। এখন কী করে ছবিটি পুরো বদলে যেতে পারে?
ভোটের আগে বিজেপি প্রচার করেছিল হরিয়ানায় দল ৭৫ পার করবে। কিন্তু বিজেপির অন্দরের খবর, দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার মতে ৬০-৬২ টির বেশি মিলবে না। তবে খুব কম হলেও ৪৮টি আসন পাবে বিজেপি। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে দু’টি বেশি। কংগ্রেস ২২-৩০, জেজেপি ১০-১২, আইএনএলডি ও নির্দল একটি করে। বিজেপির ওই সমীক্ষকদের যুক্তি, জাঠেরা লোকসভায় মোদীকে ভোট দিলেও বিধানসভায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অ-জাঠ মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের উপর। দলিতদের ভোটও কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার ফল যদি এটাই হয়, তা হলে কংগ্রেসে ফের দাপট বাড়বে প্রবীণদের। কারণ, সরকার গড়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার জন্য কৃতিত্ব দাবি করবেন ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। আহমেদ পটেলদের সঙ্গে মিলে যিনি সনিয়া গাঁধীর কাছে নালিশ জানিয়ে দলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ অশোক তানোয়ারকে। হাওয়া ঘোরার আঁচ পেয়েই হুডা আজ বলতে থাকেন, ‘‘আরও আগে সময় পেলে আরও ভাল ফল হত। তবু এখনও বলছি, কংগ্রেস স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’’ সন্দেহ নেই, হুডার কটাক্ষ রাহুলের প্রতিই।
শেষ পর্যন্ত ফল যা-ই হোক, আচমকাই নতুন সমীক্ষা-চিত্র গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে সব শিবিরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy