—প্রতীকী ছবি।
ফের ‘অপারেশন কমল’-এর জল্পনা সেই কর্নাটকেই!
চলতি মাসের গোড়ায় কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার দাবি করেছিলেন, সরকার ফেলতে বিজেপির ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তিনি এবং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ওয়াকিবহাল। শুক্রবার কংগ্রেসের প্রথম বারের বিধায়ক রবিকুমার গৌড়ার দাবি, শাসক দলের বিধায়কদের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ কোটি টাকা আর মন্ত্রিত্বের ‘টোপ’ দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। তিনি বলেছেন, ‘‘রবির সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে আমার কাছেও খবর রয়েছে যে, বিজেপি আমাদের সরকার নড়বড়ে করতে অপারেশন কমলের ছক কষছে।’’ রবিকুমারের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিবকুমার বলেন, ‘‘তাবড় লোকজন এই অপারেশন কমলের নেপথ্যে রয়েছেন। তবে কিছুতেই কাজ হবে না।’’ বিজেপি অবশ্য এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রবিকুমার ডি কে শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ বার রবিকুমার বলেছেন, ‘‘বিজেপির তিন জন বেকার লোক... জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলতে যে গ্যাং সাহায্য করেছিল, আবার তারা সক্রিয় হয়েছে। পাঁচ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে দেখা করে ৫০ কোটি টাকা, একটা মন্ত্রিত্ব আর বিশেষ বিমানে উড়ে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।’’ এই সক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। রবিকুমারের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের বিধায়কেরা এই ফাঁদে পড়ার নন। তাঁরা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে জানাচ্ছেন।’’ সময় এলে ওই পাঁচ দলীয় বিধায়কের নাম প্রকাশ্যে আনা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
‘অপারেশন কমল’ শব্দবন্ধের প্রবর্তন ২০০৮ সালে। সে বার দলত্যাগ বিরোধী আইন পাশ কাটিয়ে কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে নানা কৌশল করেছিল বিজেপি। ২০১৯ সালেও একই ঘটনা ঘটে। ১৭ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে জেডিএস-কংগ্রেস সরকার ফেলে বিজেপি কর্নাটকের ক্ষমতা দখল করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী দলের সরকার ফেলার ঘটনা বা সেই চেষ্টার অভিযোগে ‘অপারেশন কমল’ কথাটি ফিরে ফিরে এসেছে। এ বার রবিকুমার ‘ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে’ তিন জনের কথা বলেছেন। তার মধ্যে নাম করেছেন এক জনেরই। এন আর সন্তোষ। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ। বিজেপি ছেড়ে জেডিএস-এর টিকিটে গত নির্বাচনে লড়ে হেরে যান। সন্তোষ ছাড়া আর কারও নাম করেননি রবিকুমার। ওল্ড মাইসুরু অঞ্চলের এবং বেলাগাভির দু’জন বিধায়ক বলে উল্লেখ করেছেন শুধু। তাঁর দাবি, সন্তোষ দিন দশেক আগে বেঙ্গালুরুর নির্দিষ্ট একটি হোটেলে কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
সন্তোষ এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘প্রমাণ কোথায়? (কংগ্রেসের) হাতে যখন ১৩৫ জন বিধায়ক, চিন্তাটা কিসের?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy