উত্তরপ্রদেশের নিহত গ্যাংস্টারকে সামনে রেখে মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমে পড়ল বিজেপি। প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকে নির্বাচনেও সেই আতিক আহমেদ! উত্তরপ্রদেশের নিহত গ্যাংস্টারকে সামনে রেখে মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমে পড়ল বিজেপি।
গত কাল কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ইমরান প্রতাপগড়হির। যিনি দলের সংখ্যালঘু শাখার সভাপতিও বটে। বিজেপির অভিযোগ, ইমরান ব্যক্তিগত ভাবে আতিকের ঘনিষ্ঠ। আতিকের সঙ্গে ইমরানের একাধিক ছবি ও অতীতের টুইট তুলে ধরে প্রচারে নামছে বিজেপি, যা ভোটারদের মেরুকরণের প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন রাজনীতির অনেকে। বিজেপি মনে করে, আতিকের মতো কুখ্যাত অপরাধী যে ভাবে সাজা পেয়েছে, তাতে দেশের মানুষের একটা বড় অংশ খুশি। তাই আতিকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আগামী দিনে জলঘোলা হলে তাতে কর্নাটকে কট্টর হিন্দু ভোটের মেরুকরণ হবে বলেই তাদের বিশ্বাস। বিশেষ করে দলের কট্টরবাদী নেতা বলে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথ বা হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নিজেদের কেন্দ্রে প্রচারে পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা যে ভাবে তদ্বির চালাচ্ছেন, তাতে দল মেরুকরণের প্রশ্নে আশাবাদী। এই আবহে আতিক-ইমরান বিতর্ক উস্কে দিয়ে বিজেপির সাংসদ তথা কর্নাটকের নেত্রী শোভা করন্ধলাজের প্রশ্ন, ‘‘যে ব্যক্তি আতিকের সমর্থনে দাঁড়ায়, তাকে কী ভাবে তারকা প্রচারক হিসাবে বেছে নিতে পারে কংগ্রেস?’’ তিনি আতিক ও ইমরানের মধ্যে প্রকৃত সম্পর্ক কী, তা প্রকাশ্যে আনার দাবি করেন।
কংগ্রেসের দাবি, আতিকের সঙ্গে ইমরানের ছবিগুলি অনেক পুরনো। প্রথম ইউপিএ জমানায় আতিক যখন এসপি-র সাংসদ ছিলেন, তখন ছবিটি তোলা হয়। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি শোভা। তিনি বলেন, ‘‘আতিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ইমরানের। ইমরান নিজের গুরুর মতো দেখতেন আতিককে।’’ বিজেপির দাবি, ইমরানের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তিকে কী ভাবে তারকা প্রচারক করা হতে পারে, তা নিয়ে কংগ্রেসের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এটি আদৌ বিতর্কের বিষয় নয়। তাই তারা বিষয়টি নিয়ে আদৌ আলোচনা করতে প্রস্তুত নয়।
এ দিকে একেবারে শেষ মুহূর্তে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের শিগ্গাও কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল কংগ্রেস। পঞ্চম তালিকায় ওই কেন্দ্রে আগেকার ঘোষিত প্রার্থী মহম্মদ ইউনুস শাভানুরকে সরিয়ে ইয়াসির আহমেদ খান পঠানকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সূত্রের মতে, শাভানুর রাজনীতিতে নতুন। উপরন্তু তিনি বহিরাগত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে লড়াই মূলত লিঙ্গায়েত ও মুসলিমদের মধ্যে। তাই মুসলিমদের সমর্থন পেতে স্থানীয় হুবলি-ধারওয়ার এলাকার অঞ্জুমান-ই –ইসলামি সংস্থার সভাপতি তথা সংখ্যালঘু সমাজের জনপ্রিয় নেতা পঠানকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy