গুজরাতে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী-সহ প্রথম তালিকা গত সপ্তাহেই প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি। সাধারণত যাদের তালিকা সবার শেষে প্রকাশ হওয়াই রীতি সেই কংগ্রেসেরও গুজরাত ভোটের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত। আর তালিকা প্রকাশের দৌড়ে সাধারণত যারা এগিয়ে থাকে, সেই বিজেপির তালিকার দেখা নেই এখনও। সূত্রের মতে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জেরে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় নিজ রাজ্যের প্রার্থী তালিকা প্রকাশে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। সূত্রের মতে, সম্ভবত আগামী বুধবার ওই তালিকা প্রকাশ করতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
হিমাচলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকায় ১১ জন জয়ী বিধায়কের টিকিট কেটেছে দল। সব মিলিয়ে ওই রাজ্যের ৬৮ আসনের মধ্যে ২০টিতে নতুন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই ২০টির মধ্যে ১৭টিতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিক্ষুব্ধেরা। আগামী শনিবার হিমাচল প্রদেশে ভোটের আগে যে কোন্দল মেটাতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছে জে পি নড্ডাদের। এমনকি বিক্ষুব্ধদের নিরস্ত করতে মাঠে নামতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়েছে বলে মনে করছেন না দলীয় নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, হিমাচলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা গুজরাতেও।
কারণ ইতিমধ্যে অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকের পরে প্রাথমিক যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে রাজ্যের প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ আসনে নতুন মুখ আনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া যে বিধায়কদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাঁদের যেমন সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, তেমনই বিধায়ক তথা মন্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ, স্বজণপোষণ ও দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের এ যাত্রায় ছেঁটে ফেলেছে দল। টিকিট দেওয়া হচ্ছে না ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদেরও। যে কারণে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দল ছেড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়নারায়ণ ব্যাস। কংগ্রেসের দিকে পা বাড়ানো ব্যাসের পথ অনুসরণ করতে পারেন টিকিট না-পাওয়া অনেক বিজেপি নেতাই, আশঙ্কা রয়েছে।
সে কারণে রবিবার বিজেপির তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা থাকলেও, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল। সূত্রের মতে, আজ ও আগামিকাল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গুজরাত ও হিমাচলের ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকবেন। সেই কারণে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক আগামী বুধবার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে হওয়া ওই বৈঠকে মোদী, অমিত শাহ, দলীয় সভাপতি নড্ডা ছাড়াও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিল-সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘যথাসম্ভব সর্বসম্মত প্রার্থী বেছে নেওয়াই লক্ষ্য দলের। তাই রাজ্যে নেতাদের ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যে ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী কবে কোথায় যাবেন, তা-ও স্থির করে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে বৈঠকে।’’
সূত্রের মতে, হিমাচলের মতো গুজরাতেও বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা যাতে দলের বিরুদ্ধে না-দাঁড়ান, তাই তাঁদের বোঝানোর জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যাঁদের টিকিট কাটা যাবে, তাঁদের অন্য কী ভাবে রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব, তারও রণকৌশল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy