প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
আজ জম্মু-কাশ্মীরের তৃতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন সেই প্রশ্নে এখনও দিশাহীন বিজেপি। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, সবে অর্ধেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। আরও অর্ধেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি রয়েছে। দল তাঁদেরই মধ্যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নেবে অথবা রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশের মতো এ ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সামনে রেখে ভোটেনামবে দল।
প্রায় দশ বছর পরে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। গত কাল বিজেপির পক্ষ থেকে গোড়ায় তিনটি পর্বের ৪৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যাতে বাদ পড়েন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহ, কবীন্দ্র সিংহ, প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যপাল শর্মারা। ওই তালিকা ঘিরে জম্মুতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হলে তা বাতিল করে কেবল প্রথম দফা নির্বাচনের ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দল। কিন্তু দল আজ যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তাতেও গত কালের মতোই বাদ পড়েছেন ওই বর্ষীয়ান নেতারা। যা নিয়েও প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে জম্মুর বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কাল যে বিতর্কিত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল এবং আজ যে দ্বিতীয়-তৃতীয় তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে একটি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম পরিবর্তন হয়েছে। মাতা বৈষ্ণোদেবী কেন্দ্র থেকে গত কাল টিকিট পেয়েছিলেন রোহিত দুবে। পরিবর্তে আজ টিকিট দেওয়া হয়েছে বলদেব রাজ শর্মাকে। অন্য দিকে নাগরোটা কেন্দ্রে থেকে টিকিট পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দেবেন্দ্র সিংহ রানা।
এ দিনের তালিকায় টিকিট না পাওয়াদের তালিকায় রয়েছেন গত সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহ। তাঁর কাঠুয়ার বিল্লাবর কেন্দ্র থেকে এ বারে টিকিট পেয়েছেন সতীশ শর্মা। অথচ, জম্মুর রাজনৈতিকমহলে জল্পনা ছিল, এ বারে ভোটে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন নির্মল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে দলের তারকা প্রচারক হিসেবে দায়িত্ব পেলেও নির্মল টিকিট না পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়েছে দলের মধ্যে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কালের বিতর্কিত তালিকাতে স্থান পাননি জম্মু-কাশ্মীরে দলের সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্র গুপ্ত। এ দিনের তালিকায় ওই দুই নেতার কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। ফলে ওই দুই নেতার পরবর্তী তালিকাগুলিতে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের একাংশের মতে, শেষ পর্যন্ত টিকিট পেলে ওই দুই নেতার মধ্যে এক জনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে পারে দল। তবে দলের অন্য অংশের মতে, অতীতে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি। সাফল্যও পেয়েছিল দল। কিন্তু রাজনীতির অনেকের মতে, বিজেপির গত দশ বছরের শাসনের প্রথম দিকে ওই নীতি কাজে এলেও ধীরে ধীরে মোদীর জনপ্রিয়তা যত কমে এসেছে তত বিধানসভা নির্বাচনে মোদীকে সামনে রেখে লড়ার নীতি অসফল প্রমাণিত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে ওই নীতি সফল হলেও, কর্নাটক, হিমাচলপ্রদেশের মতো রাজ্যে ওই নীতি ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির। ফলে আগামী দিনে কোন পথে বিজেপি এগোয় তা এখন দেখার।
গত কাল প্রথম দফা প্রার্থী ঘোষণার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের জন্য দলের ৪০ জন তারকা প্রচারকের একটি তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। যাতে ১১তম স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে দলের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষের ফলেই কি তালিকার এত পিছনে স্থান পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে দলের বক্তব্য, জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নয়, প্রচারক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছেন যোগী। সেটাই নিয়ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy