—প্রতীকী ছবি।
দলীয় কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদী যতই পসমন্দা ও বোহরা মুসলিম সমাজের মধ্যে দলীয় সমর্থন বাড়ানোর উপরে জোর দিন না কেন, বিজেপি সূত্রের মতে গত বারের মতো এ যাত্রাতেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও লক্ষদ্বীপ ছাড়া অন্য কোথাও কোনও মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার বিপক্ষে দল।
গত জুলাই মাসে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলীয় কর্মীদের পসমন্দা মুসলিমদের কাছে পৌঁছনোর পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনি ওই বার্তা দিলেও, বাস্তবে এই মুহূর্তে বিজেপিতে কোনও মুসলিম সাংসদ নেই। একমাত্র মুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন মুখতার আব্বাস নকভি। কিন্তু তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। পরপর দু’বার তাঁকে রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনে দল। বিজেপির অলিখিত নিয়ম হচ্ছে, টানা দু’বারের বেশি তিন বার সাধারণত কাউকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয় না। তাই নকভির মেয়াদ শেষ হতেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ঘটনাচক্রে আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যসভায় দু’বারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিজেপির বেশ কিছু নেতা তথা ভূপেন্দ্র যাদব, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নির্মলা সীতারামনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। ইতিমধ্যেই ওই তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দু’বারের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হতেই নতুন করে আর তাঁদের আর রাজ্যসভায় সুযোগ দেওয়া হবে না। পরিবর্তে লোকসভা থেকে জিতে আসতে বলা হয়েছে ওই মন্ত্রীদের। সেই মতো নিজেদের রাজ্যে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ওই নেতারা। কিন্তু নকভি ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, সে ধরনের কোনও বার্তাই দেওয়া হয়নি নকভিকে। যা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে এই মুহূর্তে অন্তত দলের ভাবনাচিন্তায় কোনও ভাবেই নেই বর্ষীয়ান ওই শিয়া নেতা।
সূত্রের দাবি, এ যাত্রাতেও সম্ভবত গত বারের ধাঁচে লক্ষদ্বীপ ছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্রে মুসলিম প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে না দল। দলের এক নেতার কথায়, দল লোকসভার আগে মেরুকরণের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিতর্কিত বিষয় সামনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে হিন্দু ভোটকে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়। সেই আবহে কোনও মুসলিম ব্যক্তিকে টিকিট দিলে দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির ওই নেতার দাবি, সেই কারণেই গত বারের মতো এ বারেও লক্ষদ্বীপ ছাড়া অন্য কোথাও কোনও মুসলিম নেতাকে টিকিট দেওয়ার কথা আপাতত ভাবছে না দল। যদিও ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশের শাসক দলে কেন এক জন মন্ত্রী তো দূরে থাক মুসলিম সাংসদ পর্যন্ত নেই, তা নিয়ে দফায় দফায় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, বিরোধীরা যত এ ধরনের বিতর্ক তৈরি করবেন তত মেরুকরণ হবে হিন্দু ভোটের। তত এককাট্টা হবেন বিজেপি কর্মীরা। যা ভোটবাক্সে বিজেপিকে ফায়দা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy