বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
ঝাড়খণ্ডের ভোটের তারিখ ঘোষণার পরে তিলার্ধ সময় ব্যয় না করে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী নিজেই। রাজ্যের মোট ৮১টি আসনের মধ্যে ৬০টি আসন নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনা শুরুই হয়েছে ২৮টি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী চিহ্নিতকরণ দিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা, সদ্য জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া চম্পই সোরেন, অর্জুন মুণ্ডারা। ওই ২৮টি আসনকে পাখির চোখ করতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ উনিশের ভোটে এর মধ্যে মাত্র দু’টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এই আসনগুলিতে এ বার অভিজ্ঞ, প্রবীণ এবং অন্য দল থেকে আসা নেতাদের দাঁড় করানোর কথা ভাবছে বিজেপি, যাতে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’কে চাপে ফেলা যায়।
জানা যাচ্ছে, দেরি না করে বৃহস্পতিবারই প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। ঝাড়খণ্ড প্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতি নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে তিন জন করে প্রার্থীর নামের তালিকা গত রাতের বৈঠকে নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত তিনটি নামের মধ্যে কোন নামটি চূড়ান্ত হবে, তা নিয়ে গত ৭ অক্টোবরই ঝাড়খণ্ডের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি বাবুলাল মরাণ্ডি ধানওয়াড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়বেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন নিজের কেন্দ্র সরাইকেলা, তাঁর পুত্র বাবুলাল সোরেন ঘাটশিলা থেকে দাঁড়াবেন বলে খবর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা দলকে বলেছেন, তাঁর পরিবর্তে তাঁর স্ত্রী মীরাকে খারসওয়ান আসন দিতে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের ঘটনা, সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের অনুপ্রবেশের ফলে জনসংখ্যার চরিত্র বদলের অভিযোগ ও জনকল্যাণ তথা খয়রাতির প্রতিযোগিতা এ বারের ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের মূল বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy