‘বন্দে ভারত’-এর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার উনায়। পিটিআই
দাদা রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো পদযাত্রায় ব্যস্ত। বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা তাই এ বার হিমাচল প্রদেশে ভোটের প্রচারের দায়িত্ব নিজের হাতেই তুলে নিলেন। আগামিকাল থেকেই ওই রাজ্যে প্রচার শুরু করছেন তিনি। এ দিকে, আজ হিমাচলে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করে সে রাজ্যের অনুন্নয়নের জন্য মূলত কংগ্রেস সরকারকেই নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বছর শেষে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। দীপাবলির পরেই ওই রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাই হিমাচলে সরকার ধরে রাখতে গত দশ দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সেই রাজ্য সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। আজ হিমাচল প্রদেশের উনা স্টেশন থেকে উনা-দিল্লি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন ছাড়াও উনাতে ট্রিপলআইটি-র একটি ভবনের শিলান্যাস করেছেন মোদী। পরে একটি জনসভায় তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে পরিকাঠামোগত যে অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে, তার জন্য মূলত অতীতের কংগ্রেস সরকারই দায়ী। মোদীর দাবি, হিমাচল ও কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ভাবে উদাসীন ছিল। সেই কারণে গ্রামীণ সড়ক, বিদ্যালয়, ডিজিটাল পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিস্রুত পানীয় জলের মতো বুনিয়াদি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাঁদের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বুনিয়াদি পরিকাঠামো গড়তে তৎপর হয়েছে।
তা সত্ত্বেও কেন্দ্রে দু’বার ও হিমাচলে পাঁচ বছর সরকারে থাকার সুবাদে মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া যে রয়েছে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বড় সংখ্যক মানুষ আর্থিক নিরাপত্তার অভাব, বেকারত্বের কারণে সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ। বিজেপির আশঙ্কা, মানুষের ক্ষোভকে যদি বিরোধী শিবির একত্র করতে সক্ষম হয়, তা হলে ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বেশ মুশকিল হবে দলের পক্ষে। সেই কারণে ভোট ঘোষণার আগে একের পর এক সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করে মানুষের মন জয়ের কৌশল নিয়েছেন মোদীরা। আজ উনায় বন্দে ভারত, ট্রিপলআইটির পাশাপাশি একটি ওষুধ উৎপাদন পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন মোদী। সরকারের ঘোষণা, এতে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। চাকরি পাবেন কুড়ি হাজার স্থানীয় মানুষ। ১৬ ও ১৮ তারিখে ফের সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনে হিমাচলের ধর্মশালা ও সোলান যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
দেরি না করে মাঠে নামছে কংগ্রেসও। রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় ওই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামিকাল সোলানের একটি জনসভা থেকে ওই রাজ্যে প্রচারে ঝাঁপাবে তারা। মূলত কেন্দ্র ও রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকা সত্ত্বেও শাসক দলের ব্যর্থতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy