ছবি: সংগৃহীত।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞানের পরীক্ষা। হাতে খুব কম সময়। তাই কিছু কিছু রোজের অভ্যাস হিসাবে রপ্ত করতে পারলে নবীন পরীক্ষার্থীদের অনেকটাই বেশি সুবিধা হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষা নামক ভয় কাটাতে এই অভ্যাসগুলি পড়াশোনার চাপ কমাতেও যথেষ্ট সাহায্য করবে।
১. প্রতিদিন যে কোনও বিষয়ের সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানের যে কোনও একটি অধ্যায় অনুশীলন করতে হবে।
২. প্রতিটি অধ্যায়ের ক্ষেত্রে রিডিং পড়া এবং একই সঙ্গে লেখার অভ্যাস রাখলে উপকার হবে। কারণ, জীবন বিজ্ঞানের যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়, তাতে ছোট প্রশ্নের সংখ্যা অনেক বেশি। তার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বই খুঁটিয়ে পড়লে সম্ভাব্য সমস্ত উত্তর লেখা সহজ হয়ে উঠবে।
৩. লেখার সময়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। এতে প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি রোজের চর্চায় থাকবে। এ ক্ষেত্রে অনুশীলনীর প্রশ্ন, পুরনো মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন এবং টেস্ট পেপারের প্রশ্নের উত্তর লেখার অভ্যাস প্রতিদিন এক বার করে হলেও চর্চা করা প্রয়োজন। এতে, লেখার গতি বাড়বে এবং সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের খুঁটিনাটিও সহজে রপ্ত করা যাবে।
৪. প্রতি বছরের পরীক্ষার প্রশ্নে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিষয়ে ছবি আঁকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই প্রশ্নের নিরিখে সেই ধরনের ছবিই যদি বারবার অনুশীলন করা যায়, তা হলে দ্রুত ছবি আঁকা এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে জটিলতা কমে আসে। এ ক্ষেত্রে চোখের বা স্নায়ুতন্ত্রের ছবি আঁকলে নির্দিষ্ট করে চারটি বিষয় চিহ্নিত করার চেষ্টা করতে হবে। এতে প্রতিদিন আলাদা আলাদা বিষয়ে ছবি আঁকার অভ্যাসের দরুণ পরীক্ষার সময়ে চিহ্নিতকরণের কাজ দ্রুত এবং সঠিক ভাবে শেষ করা যাবে।
৫. কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে বাড়তি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসা যেতে পারে। একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলে যিনি খাতা দেখবেন, সেই সময়ে তিনি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটিতে নম্বর দেবেন। এতে সার্বিক ভাবে প্রাপ্ত নম্বর বৃদ্ধি পাবে।
৬. বাড়তি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে লেখার অভ্যাস করা প্রয়োজন। যাতে সময়ের মধ্যে লেখা সম্পূর্ণ করা যায়। অন্যথায় পরীক্ষার সময়ে উত্তর জানা সত্ত্বেও সময় না দিতে পারলে নম্বর তোলা কঠিন হতে পারে।
৭. পরীক্ষার আগে অকারণে রাত জাগা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করা, যে কোনও বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করতে হবে। বরং মন দিতে হবে সময় মতো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া এবং নিজের উপরে বিশ্বাস রাখার উপরে।
৮. শুরু থেকেই সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাগ গুছিয়ে নেওয়া, অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি সঙ্গে রাখা, পরিমাণ মতো জল পান করার উপরে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পরে নির্দেশ মতো নিজের জায়গায় বসতে হবে। প্রশ্ন পাওয়ার পরে মাথা ঠান্ডা রেখে আগে ভাল করে পড়ে নিতে হবে। কোন প্রশ্ন প্রথমেই লিখলে দ্রুত শেষ করা যাবে, তা শুরুতেই ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন। তবেই পরীক্ষার ভয়কে জয় করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy