স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন ভেবে সন্দেহের বশে সীতাকে খুন করেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমে প্রণয়, তার পর বিয়ে। দশ বছর ধরে একই ছাদের তলায় ঘর করছেন। কিন্তু চরিত্রে খুঁত রয়েছে, সেই অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বাড়ির ছাদের জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের উসলাপুরে ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম পবন ঠাকুর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সীতা সাহু।
জাল নোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পবনের বিরুদ্ধে বিলাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পবনের বাড়িতে জালনোটের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে কিনা, তার জন্য অভিযুক্তের বাড়িতে শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে যেন কেউটে বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা তৈরি হল। জাল নোট খুঁজতে গিয়ে বাড়ির ছাদে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ছাদের জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে একটা বিশ্রী গন্ধ ভেসে আসতে থাকে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ট্যাঙ্ক খুলে দেখেন যে, তার মধ্যে মৃতদেহের কাটা টুকরো জমিয়ে রাখা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে জাল নোটের গোছা।
খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, এই দেহটি পবনের স্ত্রী সীতার। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পবন জানান যে, স্ত্রীর চরিত্র ভাল ছিল না। তাঁর স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন ভেবে সন্দেহের বশে সীতাকে খুন করেন তিনি। পবনের দাবি, খুন করার পর স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ভরেছিলেন তিনি। পুলিশের অনুমান, দেহের টুকরোগুলি এক থেকে দু’মাস আগে ট্যাঙ্কের ভিতর ভরে রেখেছিলেন পবন। বাড়ির ভিতর থেকে নকল নোট তৈরির যন্ত্রও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। খুনের অভিযোগে পবনকে গ্রেফতার করেছে বিলাসপুর থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy