(বাঁ দিকে) পাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মন্দিরে। মন্দিরে পাত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করলেন যুবক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সফল হয়ে স্কুলশিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন সে রাজ্যের এক যুবক। আর চাকরি পাওয়ার পরেই ঘটল বিপত্তি। অভিযোগ, কয়েক জন যুবক তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একটি মন্দিরে তুলে নিয়ে যান। সেখানে লাল শাড়ি পরে সিঁদুর নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন পাত্রী। অভিযোগ, একপ্রকার জোর করেই সেই পাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় ওই যুবককে।
পাত্রীর পরিবারের অবশ্য অভিযোগ, তাদের মেয়ের সঙ্গে অবনীশ কুমার নামে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চার বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর চাকরি পান অবনীশ। তার পর নাকি গুঞ্জন নামে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হননি তিনি। অবনীশের পাল্টা দাবি, ওই তরুণী ও তাঁর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলই না। উল্টে গুঞ্জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন অবনীশ।
অবনীশের বাড়ি বিহারের বেগুসরাই জেলায়। সম্প্রতি তিনি কাটিহারের একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। অন্য দিকে, গুঞ্জনের বাড়ি লখিসরাই জেলায়। গুঞ্জনের কথায়, “আমাদের মধ্যে চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ও আমাকে বিয়ে করার কথা বলেছিল। আমি বিষয়টি বাড়িতে জানাই। তার পর হঠাৎ ও জানায়, আমায় বিয়ে করতে পারবে না।”
অভিযোগ, শুক্রবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েক জন যুবক অবনীশের রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তার পর তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর নববধূ অবনীশের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁকে পুত্রবধূ হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন অবনীশের বাবা-মা। তা নিয়ে আর একপ্রস্ত ঝামেলা হয়। পরে বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গুঞ্জন। পাল্টা অপহরণ, হেনস্থা, নিগ্রহ, ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন অবনীশও।
বিহারে অবশ্য জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। বিহার পুলিশের তরফেই জানা গিয়েছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এই সংক্রান্ত অভিযোগ চলতি বছরেই সবচেয়ে বেশি দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy