Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Forced Wedding in Bihar

সরকারি স্কুলে চাকরি পেতেই যুবককে অপহরণ! মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বিয়েও দেওয়া হল

রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামে এক যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময়পাঁচ-ছ’জন জোর করে ঢুকে পড়েন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পটনা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:০৫
Share: Save:

সরকারি চাকরি পেলে আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সরকারি চাকরিই ‘বিপদে’ ফেলছে বিহারের যুবকদের। চাকরি পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত না হয়ে আতঙ্কিত হয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে। কারণ, সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা আবার শুরু হয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে।

তেমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামে এক যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় পাঁচ-ছ’জন জোর করে ঢুকে পড়েন। তার পর তাঁকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।

গৌতমের আরও অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ ধোপে টেকেনি। তার পরই তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের কন্যার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ানো হয়। স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা হয়। তার পরই নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে। এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও সরকারি চাকুরে এক যুবককেও অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে জানায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Wedding Bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy