বন্যাকবলিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
বিহারের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। কোশী এবং বাগমতী নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। দুই নদী ভয়াল রূপ ধারণ করায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে ফুঁসছে গঙ্গাও। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১৬ জেলা বন্যা কবলিত। ১০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সোমবার রাজ্যের আলাদা আলাদা জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে পশ্চিম চম্পারণে রিং বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হু হু করে একের পর এক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অন্য দিকে, দ্বারভাঙা জেলার বিরৌলের কিরতপুরে কোশী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে, গন্ডক নদীর কুল ছাপিয়ে সংলগ্ন গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছ’টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ফলে সীতামঢ়ী, দ্বারভাঙা, পশ্চিম চম্পারণে পরিস্থিতি সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে।
জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধরি জানিয়েছেন, গত দু’তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীবাঁধগুলির উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাল্মীকিনগর এবং বীরপুর বাঁধ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়তে থাকায় নদীগুলি আরও ফুলেফেঁপে উঠেছে। গন্ডক, কোশী, বাগমতী, বুড়ি গন্ডক, কমলা বালান, মহানন্দা এবং গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, আরারিয়া, সুপৌল, কটিহার, পূর্ণিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy