টলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। —ফাইল চিত্র।
তিনি ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার ইডি সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
গত জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। পাঁচ ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর থেকে বার হন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তা তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি। ৫ জুন তাঁকে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েওছিলেন।
তবে ১৯ জুন ইডির দফতরে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘আমার সহযোগিতায় তদন্তকারীরা খুশি। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁরাও (তদন্তকারীরা) সহযোগিতা করেছেন, আমিও সহযোগিতা করেছি।’’
এর আগে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ঋতুপর্ণা এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এক সময়ে বেশ কিছু বাংলা ছবি প্রযোজনা করেছিল রোজভ্যালি সংস্থা। সেই সূত্রেই ঋতুপর্ণার সঙ্গে সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর যোগাযোগ হয়েছিল বলে ইডির তরফে সে সময় জানানো হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে টলিউড অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর। গৌতমের সংস্থার প্রযোজনায় কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন ঋতুপর্ণা। সে সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন নিয়ে পাঁচ বছর আগেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে তাঁর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy