লালুপ্রসাদ যাদব।
বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে পুত্র তেজস্বীর নেতৃত্বে এগিয়ে তাঁর দল আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সেই ইঙ্গিতে তাৎক্ষণিক সন্তুষ্টি হলেও ফল প্রকাশের সময় যত এগোচ্ছে, অস্থিরতা বাড়ছে লালুপ্রসাদের।
রাঁচীর রিমস হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চোখ এখন সব সময় টিভি চ্যানেলের দিকে। রিমসে ভর্তি হওয়ার পর থেকে লালুকে যিনি দেখছেন, সেই উমেশ যাদব সোমবার ফোনে বলেন, “লালুজির এই টেনশন কিন্তু ঠিক নয়। ওঁর শরীর গত কয়েক দিন ধরে খারাপ হয়েছে। ওঁর সমস্যা মূলত কিডনির। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়়েছে। সুগার এবং হাইপ্রেশারের সমস্যাও রয়েছে। ওঁর পূর্ণ বিশ্রাম দরকার।”
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লালুর কারাদণ্ড হয় সিবিআই আদালতে। এর পর মাস কয়েক রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা জেলে থাকার পরে অসুস্থতার কারণে তাঁকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাঁচীর রিমস হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার পর থেকে রিমসের পেইং ওয়ার্ডেই ছিলেন লালু। করোনার আশঙ্কায়তাঁকে অগস্ট থেকে রিমস হাসপাতাল চত্বরে ‘কেলি বাংলো’য় রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাগান ঘেরা বাংলোয় লালু থাকতে পারছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সৌজন্যেই।
আরও পডুন: নীতীশ কুমার না তেজস্বী যাদব? বিহার ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে তেজস্বী
তবে জয়ের বিষয়ে বুথফেরত সমীক্ষায় যে ইতিবাচক ইঙ্গিতই থাক না কেন, লালু জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। আরজেডির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস যাদব রাঁচী থেকে ফোনে বলেন, ‘‘লালুজি হাসপাতাল থেকেই বার্তা দিয়েছেন, ফল যা-ই হোক, শান্তি যেন বজায় থাকে। তবে পরিবর্তন যে আসবে সেই ব্যাপারে উনিও নিশ্চিত।” জেলের বিধি অনুসারে, শনিবার বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ে তিন জন লালুর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ভোটের আগে বার বার এখানেই দেখা করে গিয়েছেন তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে আরজেডির নেতারা। এক আরজেডি সমর্থকের কথায়, “ভোটের আগে কেলি বাংলোই আরজেডির সদর দফতর হয়ে উঠেছিল।“
শনিবার কারও সঙ্গে দেখা করেননি লালু। সোমবার ভোটের ফল প্রকাশের আগের দিনও লালুর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেননি জেল কর্তৃপক্ষ। কৈলাস বলেন, ‘‘লালুজি আশা করেছিলেন, ৯ নভেম্বর জামিন হয়ে গেলে রিমসের বাংলোয় বসে একা ভোটের ফলাফল দেখতে হতো না লালুজিকে। তেজস্বীর জন্মদিনেও থাকতে পারতেন।”আরজেডি সমর্থকদের একাংশ বলছে, তেজস্বীর জন্মদিন ও রাজ্যে পালাবদলের কেক লালুর জন্য তাঁরা একবারেই পাঠাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy