প্রতীকী ছবি
ধর্ষণের চেষ্টায় দোষীকে অদ্ভুত সাজা দিল বিহারের ঝাঁঝাপুর আদালত। শুনানির পর জামিন মঞ্জুর করার পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিল, দোষীকে গ্রামের সমস্ত মহিলাদের কাপড় কেচে দিতে হবে ছ’মাস, সেই সঙ্গে ইস্ত্রিও করে দিতে হবে। এটাই তার সাজা। ছ’মাস বাদে যদি গ্রামের প্রধান বা কোনও সরকারি অফিসার শংসাপত্র দিয়ে বলেন, সে আদালতের নির্দেশ সে পালন করেছে, তা হলেই মুক্তি মিলবে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া লালনকুমার সফি-র বয়স কুড়ি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন ঝাঁঝাপুর এলাকার একটি গ্রামের এক মহিলা। সেই অভিযোগে আদালতে মামলা হয়। সফি-র আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের বয়স মাত্র ২০ বছর, সেই কারণেই তার ছাড় পাওয়া উচিত। পাশাপাশি, সামাজিক কাজ করে নিজেকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে চায় অপরাধী। সেই কথা শুনে আদালত ১০ হাজার টাকার দু’টি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু পাশাপাশি জানিয়ে দেয়, আগামী ছ’মাস নিত্য একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে অপরাধীকে। তাকে গ্রামের মহিলাদের কাপড় কাচতে হবে, ইস্ত্রি করে আবার পৌঁছে দিতে হবে বাড়িতে। এর জন্য কোনও অর্থ নেওয়া চলবে না।
আদালতের এই আদেশ শুনে সকলেই অবাক হয়েছে। তবে এই আদালতের বিচারপতি অবিনাশ কুমার এর আগেও এমন অবাক করা রায় দিয়েছেন। তিনি এই বছরই অগস্ট মাসে এক শিক্ষককে লকডাউনে অবৈধ ভাবে স্কুল চালানোর সাজা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, গ্রামের সমস্ত পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পড়াতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy