প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঘরের ভিতরে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মেঝেতে পড়ে এক দম্পতি এবং তাঁদের কন্যাসন্তান। গলার নলি কাটা। মুখ যাতে চেনা না যায়, অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিহারের বেগুসরাই থেকে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দম্পতির পুত্রকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন সঞ্জীবন মাহাতো, তাঁর স্ত্রী সঞ্জিতা এবং তাঁদের দশ বছরের কন্যাসন্তান স্বপ্না। দম্পতির পুত্র অঙ্কুশকে গুরুতর জখম অবস্থায় বেগুসরাই সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার রাতে সঞ্জীবনরা বাড়িতে পুজো করেন। তার পর পড়শিদের বাড়ি গিয়ে প্রসাদ বিতরণ করেন। সেই কাজ শেষ হলে তাঁরা মাঝরাতে ঘুমোতে যান।
শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ এক প্রতিবেশী সঞ্জীবনদের বাড়িতে যান। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। সঞ্জীবনরা ঘুমোচ্ছেন ভেবে ওই প্রতিবেশী ডাকাডাকি না করেই চলে যান। আধঘণ্টা পর তিনি আবার ফিরে আসেন। তখন ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি মারতেই দেখেন তিন জন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্য পড়শিদের ডেকে ঘটনাটি বলেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়।
মৃতের আত্মীয়দের দাবি, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে ভোলা দাস নামে স্থানীয় এক যুবক। তাঁর কাছ থেকে সঞ্জীবন জমি কিনেছিলেন। আর সেই জমি সংক্রান্ত বিষয়েই দু’পক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। সঞ্জীবনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন ভোলা। তবে ভোলাই কি খুনি, না কি এর নেপথ্যে অন্য কেউ আছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বেগুসরাইয়ের পুলিশ সুপার মণীশ জানিয়েছেন, সঞ্জীবনের দু’টি বিয়ে। ২০ বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। সেই পক্ষের এক পুত্রসন্তানও আছে সঞ্জীবনের। ১২ বছর আগে আবার বিয়ে করেন সঞ্জীবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy