বিহারে কালোবাজারে মদ বিক্রেতারা ব্যবসা ছাড়লে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের। ছবি— পিটিআই।
বিহারে মদ চোরাকারবারে যুক্তেরা সে কাজ ছেড়ে দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শনিবার নেশামুক্তি দিবসে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১৬ সালে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি। তার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। কিন্তু বিহার কি আদৌ মদমুক্ত হয়েছে? বিরোধীদের অভিযোগ, রমরমিয়ে চলছে মদের কালোবাজারি। চলতি ভাষায়, ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রি। এ বার ঠারেঠোরে সে কথাই কি মেনে নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার? শনিবার তিনি ঘোষণা করেছেন, বিহারে বেআইনি মদের কারবার যাঁরা করেন, তাঁরা সেই ব্যবসা ছেড়ে দিলে সরকার থেকে ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
২০১৬ সালে বিহারের মদ বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চার লক্ষের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁদের সিংহ ভাগই অর্থনৈতিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল শ্রেণির মানুষ। এই প্রসঙ্গও ছুঁয়ে গিয়েছেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘‘গরিব মানুষকে ধরার কোনও দরকার নেই। আমরা তাঁদের জন্যই এই প্রকল্পটি এনেছি, যাঁরা সংসার চালাতে সামান্য মদ বা চোলাই বিক্রি করেন।’’ নীতীশ জানিয়েছেন, শুধু মদের কালোবাজারিরাই নয়, চোলাই মদের বিক্রেতারাও ব্যবসা ছাড়লে পাবেন ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার।
সম্প্রতি বিহারে ‘জন সূরয’ অভিযানে নেমে মদ বিষয়েই নীতীশের সরকারকে ধারাবাহিক ভাবে তীব্র আক্রমণ করেছেন একদা জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিহারে সরকারি ভাবে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করার ফলে ফুলেফেঁপে উঠেছে মদের কালোবাজারিরা। সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে বিষমদ খেয়ে। ফলে মদ নিষিদ্ধ করার ফলে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলে দাবি ছিল পিকের। শনিবার পুরস্কার ঘোষণা করে নীতীশ নিজের একদা ছায়াসঙ্গীর দাবিই কি মেনে নিলেন? প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy