অস্বস্তির মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
আইনমন্ত্রী কার্তিকেয় সিংহের পরে কৃষিমন্ত্রী সুধাকর সিংহের বিরুদ্ধে চাল চুরির মামলা সামনে আসায় নতুন করে অস্বস্তির মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাচক্রে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পরে যে দু’জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এখনও পর্যন্ত উঠেছে, তাঁরা আরজেডির বিধায়ক। তবে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে জেডিইউয়ের অন্দরেও বিক্ষোভের স্বর সামনে আসতে শুরু করেছে।
জেডিইউয়ের বিধায়ক বিমা ভারতী প্রশ্ন তুলেছেন— নীতীশ কুমার বিধায়ক লেসি সিংহের মধ্যে এমন কী দেখেছেন যে তাঁকে বার বার মন্ত্রী করছেন? জবাবে নীতীশ বলেন, “মন্ত্রিসভায় সকলকে স্থান দেওয়া সম্ভব নয়। বিমা ভারতী অনুচিত মন্তব্য করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। যদি তার পরেও বিমা অন্য কিছু (দলত্যাগের বিষয়ে) ভেবে থাকেন তা হলে তিনি তা করতে পারেন।” সব মিলিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর থেকেই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
গত কাল খোদ আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলায় থাকার কথা উঠেছিল। আজ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে হওয়া চাল চুরির মামলা নিয়ে সরব হলেন বিরোধীরা। ঘটনাচক্রে সে সময়ে আরজেডির ওই রাজপুত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশাসন। স্বভাবতই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে— যার বিরুদ্ধে এক সময়ে নীতীশের পুলিশ চাল চুরির মামলা করেছে, তাঁকেই এখন কী ভাবে কৃষিমন্ত্রী করেন নীতীশ?
রামগড়ের ওই বিধায়ক সুধাকর সিংহ লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ জগদানন্দ সিংহের ছেলে। রাজপুত শ্রেণির ‘কোটা’-য় এ বারে নীতীশ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে সুধাকরের চালকলকে সরকার প্রক্রিয়াকরণের জন্য চাল দিয়েছিল নীতীশ সরকার। অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সেই চাল সরকারকে ফেরত না দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল অর্থ কামান সুধাকর। ওই সময়ে ওই দুর্নীতিতে যুক্ত সুধাকর-সহ রাজ্যের অন্য চালকল মালিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই দুর্নীতির ফলে সরকারের প্রায় আনুমানিক ১,৫৭৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।
২০১০-এ আরজেডি থেকে বিজেপিতে গিয়ে ফের আরজেডিতে ফিরে আসা সুধাকর তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “ওই ঘটনায় আমি অভিযুক্ত হলেও, সাজাপ্রাপ্ত নই। এ’টি একটি সরকারি মামলা। রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা হয়েই থাকে। ওই সময়ে কেবল আমার চালকল নয়, রাজ্যের প্রায় ১৭০০ চালকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যদি আদালত নির্দেশ দিলে আমি চাল ফেরত দিতে রাজি আছি। আদালত দোষী সাব্যস্ত করলে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।” বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর প্রশ্ন, “এ ভাবে অভিযুক্তদের মন্ত্রী করার পিছনে নীতীশ কুমারের ঠিক কী বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy