Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

সরকার যা বলছে, তার উল্টো পরিস্থিতি কাশ্মীরে, দাবি ইয়েচুরির

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইয়েচুরি দলের নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে শ্রীনগর যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করেছিলেন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

সরকার যা দাবি করছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি তার বিপরীত বলে দাবি করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইয়েচুরি দলের নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে শ্রীনগর যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করেছিলেন। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর পৌঁছনোর পরে তারিগামির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শুক্রবার দিল্লি ফেরেন। তারিগামিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বস্তুত ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ এবং কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে কার্ফু জারি হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা শ্রীনগরে ঢুকতে পারলেন। এর আগে আলাদা ভাবে গুলাম নবি আজাদ, ইয়েচুরিরা শ্রীনগরে যেতে চাইলে তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধী দলের নেতাদের প্রতিনিধি দলকেও শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তারিগামির সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ইয়েচুরিকে আর কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ ছিল, তিনি শ্রীনগরে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিমানবন্দর থেকে পুলিশ এসকর্ট করে তারিগামির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেটা নিরাপত্তার জন্য না নজরদারির জন্য, তা জানি না। এর পরে সরকারি অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আমাকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। কারওর সঙ্গে দেখাও করতে দেয়নি। শুক্রবার সকালে ফের তারিগামির সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসি। সব সময়েই আমার সঙ্গে পুলিশ, আধাসেনা সেঁটে ছিল।’’ ইয়েচুরিকে অবশ্য বৃহস্পতিবারই ফিরতে বলা হয়েছিল। তিনি রাতে থাকতে চাওয়ায়, অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার ভাড়াও ইয়েচুরি নিজেই মিটিয়ে দেন। কিন্তু আসা-যাওয়ার পথে তিনি যা দেখেছেন, তা নিয়ে ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘সরকার যা বলছে, পরিস্থিতি তার সম্পূর্ণ উল্টো।’’

মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি। —নিজস্ব চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইয়েচুরি কাশ্মীরের পরিস্থিতি ও তারিগামির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হলফনামা দিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। জানিয়েছেন, তারিগামির নিয়মিত এমস-এ চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রশাসনের অনুমতিতে দলের নেতা টিকেন্দ্র পানওয়ার ইয়েচুরির সঙ্গে গিয়েছিলেন। টিকেন্দ্র বলেন, ‘‘তারিগামির বাড়িতে পরিবারের ছয়-সাত জন রয়েছে। তাঁদের কাউকেই বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। ছোটরা স্কুলেও যেতে পারছে না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy