শেহলা রশিদ
কাশ্মীরের জনসাধারণের একাংশের উপরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘নির্যাতন’ চালাচ্ছে এবং ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করছে বলে অভিযোগ করে রবিবারই পরপর টুইট করেছিলেন রাজনৈতিক কর্মী শেহলা রশিদ। সোমবার ‘ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হল। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব এই মামলা করে অবিলম্বে শেহলাকে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছেন।
গত কাল জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলা একাধিক টুইটে অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় সেনাবাহিনী রাতে সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে সব কিছু তছনছ করছে, খাবারদাবার নষ্ট করছে, নির্বিচারে ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এমনও দাবি করেন, শোপিয়ানে চার জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনী শুধু অত্যাচারই করেনি, মাইক লাগিয়ে তাদের আর্তনাদ এলাকাবাসীকে শুনিয়ে ত্রাসের সঞ্চার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য এই সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরই আজ শেহলার নামে মামলা হয়।
জেএনইউ-এ থাকাকালীন কানহাইয়া কুমারদের নামে যখন দেশদ্রোহের মামলা হয়েছিল, শেহলা তাঁদের সমর্থনে সরব হন। এ বার তাঁর নামেও সেই একই আইনে মামলা হল। উপত্যকার বাকি রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা বেশির ভাগই এখন বন্দি বা গৃহবন্দি। শেহলার সংগঠনের নেতা শাহ ফয়সলকেও সম্প্রতি গৃহবন্দি করা হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, শেহলাকেও হয়তো ধরা হতে পারে। আজ দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলে।
শেহলা নিজে আজ দুপুরে বিষয়টি টুইটারেই মুখ খোলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার গ্রেফতারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে দয়া করে কাশ্মীর সমস্যা থেকে চোখ ঘোরাবেন না। যদি আমি গ্রেফতার হই, আমার এই টুইটগুলো পৃথিবীর সামনে শেয়ার করবেন!’’ রবিবার তিনি সেনাবাহিনীর আচরণের বিরুদ্ধে এবং উপত্যকার সার্বিক অবস্থা নিয়ে যা লিখেছিলেন, সেটাই শেয়ার করার আর্জি জানান তিনি। এ-ও বলেন, ‘‘কাশ্মীরের এখন যা অবস্থা, সেখানে শুধু গ্রেফতার হলে ভাগ্য ভাল বলতে হবে!’’ শেহলার বক্তব্য, সেনাবাহিনীর আচরণের বিরুদ্ধে যা যা তিনি লিখেছেন, সে সব মানুষের সঙ্গে কথা বলেই সংগৃহীত। ঘটনাগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই সত্য বেরিয়ে আসবে, দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy