—ফাইল চিত্র।
চার্লস ডিকেন্সের ‘এ টেল অব টু সিটিজ়’ উপন্যাস সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির মধ্যে একটি। ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাস বিক্রি হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি। অনুবাদ হয়েছে ৫০টিরও বেশি ভাষায়। ফরাসি বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত এই উপন্যাসে ডিকেন্স ফুটিয়ে তুলেছেন সেই সময়ে ইংলিশ চ্যানেলের দুই পারের দুই শহর, লন্ডন ও প্যারিসের পরিস্থিতির বৈপরীত্য। প্যারিসে বিপ্লবের আগের অবস্থা, বিপ্লব ও বিপ্লব পরবর্তী সন্ত্রাসের সময়ে সমাজের দুই শ্রেণির মধ্যে চরম বৈপরীত্যের ছবি ফুটে উঠেছে। বিচারপতি রমণ শুক্রবার কাশ্মীরের স্বর্গীয় সৌন্দর্য ও সন্ত্রাসদীর্ণ অবস্থার বৈপরীত্য এবং মানুষের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বৈপরীত্য বর্ণনা করতে গিয়ে ডিকেন্সের উপন্যাস শুরুর লাইনগুলি (ইট ওয়াজ দ্য বেস্ট অব টাইমস, ইট ওয়াজ দ্য ওয়ার্স্ট অব টাইমস) উদ্ধৃত করেছেন।
‘‘সেটা ছিল সবথেকে সুন্দর সময়, সেটা ছিল সবথেকে খারাপ সময়, সেটা ছিল জ্ঞানের যুগ, সেটা ছিল নির্বুদ্ধিতার যুগ, সেটা ছিল বিশ্বাসের সময়, সেটা ছিল অবিশ্বাসের সময়, সেই কাল ছিল আলোকিত, সেই কাল ছিল তমসাচ্ছন্ন, সেটা ছিল আশাভরা বসন্ত, সেটা ছিল হতাশার শীত, আমাদের সামনে সবকিছু ছিল, আমাদের সামনে কিছুই ছিল না, আমরা সবাই স্বর্গের পথে যাচ্ছিলাম, আমরা সবাই স্বর্গের উল্টোপথে যাচ্ছিলাম।’’
বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা যাকে ভূস্বর্গ বলে মনে করি, সেই সুন্দর উপত্যকার ইতিহাস হিংসা এবং জঙ্গিপনায় ভরা। পাহাড় যেখানে প্রশান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে, প্রতি দিন সেখানে রক্তপাত। অন্তর্লীন বৈপরীত্যের সেই ভূমিতে এই দু’টি আবেদনও বৈপরীত্যই যোগ করল। দু’টি আবেদনে পরস্পরবিরোধী দুই পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। এবং তা এতটাই বিপরীত যে দু’টিকে মেলানো যায় না।
আরও পড়ুন: দীপিকা তো কংগ্রেসের সমর্থক: স্মৃতি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy