Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Hathras Stampede Incident

হাথরসের ঘটনায় ‘ষড়যন্ত্র’! হুড়োহুড়ি হয়নি পায়ের ধুলো নেওয়ার জন্যও, দাবি ‘ভোলে বাবা’র আইনজীবীর

হাথরসকাণ্ডে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর আইনজীবী বলেন, “কিছু সমাজবিরোধী চক্রান্ত করেছেন। যখন নারায়ণ সাকার হরি ওই জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে যান, তখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা বুঝতেই পারেননি যে কী ঘটছে।”

হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১২১ জনের।

হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১২১ জনের। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১০:০৭
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ফের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ উঠে এল। এ বার ষড়যন্ত্র হওয়ার দাবি করলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’র আইনজীবী এপি সিংহ। বুধবার তিনি দাবি করেছেন যে, গোটা ঘটনাটির নেপথ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র, হাত রয়েছে ‘কিছু সমাজবিরোধীর’। এর আগে নারায়ণের তরফেও একটি বিবৃতি দিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছিল। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যাওয়া ওই ধর্মগুরুই ওই বিবৃতি দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বুধবার নারায়ণের আইনজীবী বলেন, “কিছু সমাজবিরোধী চক্রান্ত করেছেন। যখন নারায়ণ সরকার হরি ওই জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে যান, তখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা বুঝতেই পারেননি যে কী ঘটছে। কারণ, একটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল। পরিকল্পনা করে এটি করানো হয়। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল যে, ‘সৎসঙ্গে’ যোগ দেওয়া মানুষজন নারায়ণের ‘চরণরাজ’ বা পায়ের ধুলো নিতে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। তার জেরেই এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। এমনকি প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। স্বঘোষিত ধর্মগুরুর আইনজীবী অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

‘চরণরাজ’ নিয়ে নারায়ণের আইনজীবীর ব্যাখ্যা, “নারায়ণ সাকার হরি ভক্তদের কখনও পায়ে হাত দিতে দেন না। এই যে চরণরাজ বা পায়ের ধুলো নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটিও মিথ্যা। এই ধরনের ঘটনার কোনও ছবি বা ভিডিয়োও নেই।’’

মঙ্গলবার হাথরসের মুগলগঢ়িতে একটি ‘সৎসঙ্গে’র ডাক দিয়েছিলেন ‘ভোলে বাবা’। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে যায় বিপত্তি। হাথরসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে। দায়ের হয়েছে এফআইআরও। সেই এফআইআরে ‘ভোলে বাবা’র সহযোগী তথা ‘সৎসঙ্গ’-এর প্রধান সংগঠক দেবপ্রকাশ মধুকর এবং আরও কয়েক জনের নাম থাকলেও নাম নেই নারায়ণের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Hathras Stampede
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE