ভীমা কোরেগাঁওয়ে জয়স্তম্ভ। বুধবার সন্ধ্যায়। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ভীমা কোরেগাঁওয়ে অনুষ্ঠান ঘিরে এ বারেও দাঙ্গা বাধানোর চক্রান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকর।
বুধবার লাখো দলিত ও জনজাতি পুণের কাছে এই এলাকায় জড়ো হয়ে অত্যাচারী পেশোয়াদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্মারক ‘জয়স্তম্ভ’-এ শ্রদ্ধার ফুল দেন। ছিল উৎসবের মেজাজ। দু’বছর আগে এই অনুষ্ঠানে হাজির দলিতদের ওপর নির্বিচারে লাঠি-গুলি চালিয়েছিল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের পুলিশ। অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা এলাকায়। তার পরে এ বার শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের নতুন সরকার শান্তিরক্ষার জন্য নানা বন্দোবস্ত করেছিল। তার পরেও বঞ্চিত বহুজন আগাড়ি নেতা প্রকাশ অম্বেডকর বিকেলে দাবি করেন, ‘‘নতুন সরকারকে বিপাকে ফেলতে এ বারেও একটি শক্তি রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে দাঙ্গা বাধানোর চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু সরকারের সঙ্গে থেকে আমরা সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পেরেছি। শান্তিতে শেষ হয়েছে অনুষ্ঠান।’’
আরও পড়ুন: পিএফআইকে নিষিদ্ধের আর্জি যোগী সরকারের
ভীমা কোরেগাঁওয়ে এ দিনের অনুষ্ঠানে বিকেল পর্ষন্ত প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ‘জয়স্তম্ভ’-এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সন্দীপ পাটিল। তিনি জানান, শান্তি বজায় রাখতে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তৈরি রাখা হয়েছিল বম্ব স্কোয়াড এবং রিজার্ভ পুলিশকে। গুজব ছড়ানো রুখতে সারা দিন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়। প্রশাসনের এই তৎপরতার প্রশংসা করেছেন প্রকাশ অম্বেডকর। দু’বছর আগের অশান্তি ছড়ানো এবং দলিতদের ওপর আক্রমণে উঠে এসেছিল গেরুয়া বাহিনীর
নেতা শম্ভাজি ভিড়ে এবং মিলিন্দ একবোটের নাম। আন্দোলনের চাপে বিজেপি সরকার একবোটেকে কিছুদিনের জন্য আটক করে রাখলেও এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও শম্ভাজি ভিড়েকে স্পর্শ করার সাহস দেখায়নি। এ বারে আগেই নোটিস দিয়ে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৪ দিনের জন্য তাঁদের জেলায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সরকার বদলের চিত্রটা এ দিন অনুষ্ঠানের গোড়া থেকেই চোখে পড়েছে। মানুষ এ দিন উৎসবের মেজাজে এসেছেন, ঘোরাফেরা করেছেন ভীমা কোরেগাঁওয়ে। রাস্তার দু’পাশে তৈরি হওয়া স্টলগুলি থেকে নির্ভাবনায় কেনাকাটা করেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার সাতসকালেই ভীমা কোরেগাঁও পৌঁছে ‘জয়স্তম্ভ’-এ শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে কথা বলেন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে। উপস্থিত মানুষদের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদনও জানান তিনি। এসেছিলেন বিজেপির শরিক রিপাবলিকান পার্টি (এ)-র নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy