Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bengaluru Water Crisis

গাড়ি, বাগান, সিনেমা হল— বেঙ্গালুরুতে জলের ‘কোপ’ সর্বত্র, হাহাকারের মাঝে কী কী নিষেধাজ্ঞা?

দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারযোগ্য জলের সঙ্কটে ভুগছে কর্নাটক। বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এক বালতি জল কিনতে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।

জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে।

জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৬
Share: Save:

গাড়ি ধোয়ার কাজে কোনও রকম জল ব্যবহার করা যাবে না। বেঙ্গালুরুতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শুধু গাড়ি ধোয়াই নয়, আরও একাধিক কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্মাণকাজ, বিনোদন সংক্রান্ত কোনও কাজে জল ব্যবহার করা যাবে না। এই কাজের তালিকায় রয়েছে বাগান পরিচর্যা, সিনেমা হলের কাজ,

পানীয় জল তো বটেই, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারযোগ্য জলের সঙ্কটে ভুগছে কর্নাটক। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এক বালতি জল কিনতে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জল অপচয় না করার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে কর্নাটক ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ডের তরফে। একাধিক বার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ৫০০ টাকা করে বাড়তি জরিমানা দিতে হবে।

বেঙ্গালুরু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। সেখানে দৈনিক জলের চাহিদা ২৬০ কোটি থেকে ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি দিন বেঙ্গালুরুতে অন্তত ১৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জলের হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে তুমাকুরু, উত্তর কন্নড় জেলার একাধিক এলাকাতেও।

কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল?

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, শহরের বেশির ভাগ এলাকার নলকূপ শুকিয়ে গিয়েছে। জলস্তর গিয়েছে নেমে। অন্তত ৩০০০ জলের ট্যাঙ্কার শুকিয়ে গিয়েছে বলে দাবি। গত কয়েক মাস ধরে কম বৃষ্টি হওয়াও এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত জলের জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। জলের ট্যাঙ্কার কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। বেসরকারি ট্যাঙ্কারের মালিকদের জলের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি বলে দাবি। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত তিন মাস ধরে জলের সমস্যা চলছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয়দের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। তবে এত মানুষ তাতে ফোন করছেন যে, সাহায্য মেলা তো দূর, ওই নম্বরে সহজে যোগাযোগই করা যাচ্ছে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy