বেঙ্গালুরুর জলসঙ্কট। ছবি: সংগৃহীত।
পানীয় জল তো বটেই, দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজনীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে গোটা বেঙ্গালুরুতে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাইরে থেকে এক বালতি জল কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকাও। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই দামও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে বেঙ্গালুরুতে এমনই ‘জল যন্ত্রণার’ ছবি উঠে আসছে। শহরের বেশির ভাগ নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ায় জলের জন্য হাহাকার আরও বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। সেই চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে জল কিনতে গিয়েও দামের কারণে নাভিশ্বাস উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শহরের আবাসন কর্তৃপক্ষগুলি নোটিস জারি করে বাসিন্দাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই জলের যেন অপচয় না হয়। শুধু তাই-ই নয়, প্রতি দিন ২০ শতাংশ জলের খরচ কম করতে হবে। কেউ যদি এই ‘নিয়ম’ না মানেন, তা হলে তাঁকে ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। ফলে আরও বিপাকে পড়ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কোনও কোনও জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার আসছে ঠিকই, কিন্তু সেই ট্যাঙ্কারের আসার খবর পেতেই জল নেওয়ার হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। ফলে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
শুধু তাই-ই নয়, এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। ফলে অনেকেই জল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। আবার কখন ট্যাঙ্কার আসবে, আদৌ আসবে কি না, সেই অনিশ্চয়তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। পাট্টানাগেরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকার পরিস্থিতি শোচনীয়। জলের জন্য হাহাকার করছে লোকজন। তাঁর অভিযোগ, এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কেউই এসে সমস্যার খোঁজ নিচ্ছেন না। যদিও প্রশাসনের তরফে দু-একটি ট্যাঙ্কার আসছে, এক পাত্রের বেশি জল নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আরও এক বাসিন্দার কথায়, “ঘরে স্নান করার জলও নেই। এক বালতি জল দিয়ে পরিবারের পাঁচ জনের কাজ চালাতে হচ্ছে।”
বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দার দাবি, তিন মাস ধরে জলের সমস্যা চলছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এক পাত্র জল কিনতে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। বেসরকারি ট্যাঙ্কারের মালিকদের জলের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তার পর থেকেই বেসরকারি ট্যাঙ্কারগুলি আসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি শহরবাসীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy