Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২৬-২৭ ধর্মঘট, ব্যাঙ্ক বন্ধ চার দিন

এআইবিইএ ধর্মঘটে শামিল না হওয়ার ফলে এটিএম পরিষেবা ব্যাহত হবে না বলে জানিয়েছেন রাজেনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এটিএম কর্মীদের সংগঠন আমাদের অনুমোদিত। তারাও ধর্মঘটে যোগ দেবে না। ফলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এটিএমে টাকা ভরে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share: Save:

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও আরও কিছু দাবিতে আগামী ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্ক অফিসারদের ৪টি সংগঠন। ২৮ তারিখ চতুর্থ শনিবার হওয়ায় ব্যাঙ্ক ছুটি। ফলে টানা চার দিন ঝাঁপ বন্ধ রেখে ব্যাঙ্ক খুলবে সেই ৩০ তারিখ সোমবার। তবে ধর্মঘটে কর্মীদের সংগঠনগুলি যোগ না দেওয়ায় এটিএম পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে দিয়ে চারটি বড় মাপের ব্যাঙ্ক তৈরির কথা গত ৩০ অগস্ট ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সে দিনই ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছিল ব্যাঙ্কের অফিসার ও কর্মীদের সংগঠনগুলি। সেই মতো ২০ তারিখ দিল্লিতে ধর্না এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নসের (ইউএফবিইউ) অন্তর্গত অফিসার ও কর্মীদের ৯টি ইউনিয়ন। তবে ধর্মঘটের ব্যাপারে অফিসার ও কর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের বৃহত্তম সংগঠন এআইবিইএর সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ইউএফবিইউর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিল্লির ধর্নায় আমরা শামিল হব। কিন্তু ধর্মঘটে আমরা নেই।’’

এআইবিইএ ধর্মঘটে শামিল না হওয়ার ফলে এটিএম পরিষেবা ব্যাহত হবে না বলে জানিয়েছেন রাজেনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এটিএম কর্মীদের সংগঠন আমাদের অনুমোদিত। তারাও ধর্মঘটে যোগ দেবে না। ফলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এটিএমে টাকা ভরে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’

অফিসারদের যে চারটি সংগঠন দু’দিনের ধর্মঘট ডেকেছে সেগুলি হল, আইবক, এআইবিওএ, ইনবক এবং নোবো। আইবকের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই ব্যাঙ্ক সংযুক্তির বিরুদ্ধে। আগেও আমরা প্রতিবাদ করেছি। এ ছাড়া, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) অনমনীয় মানসিকতার কারণে ব্যাঙ্ক কর্মীদের মধ্যে নানা বিষয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বেতন সংশোধনের বিষয়টি দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে রয়েছে। এ সবের প্রতিবাদ জানাতেই দু’দিন ধর্মঘট ডেকেছি।’’

সৌম্যবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা বইতে গিয়ে ব্যাঙ্কগুলি লোকসান করছে। ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে এখন পরিষেবা দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের উপর নানা রকম চার্জ চাপানো হচ্ছে। ধর্মঘটের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোও আমাদের উদ্দেশ্য।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bank Strike Bank Merger Offiers Association
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy