বুধবার দুপুরে পর পর দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৭। ভূমিকম্পের জেরে রাজ্যের নানা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
শিলংয়ের আঞ্চলিক ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (রিজিওনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার)-এর তথ্য অনুায়ী, সকাল ১১টা ৬ মিনিট নাগাদ প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৭। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ইম্ফল পূর্ব জেলার ইয়ারিপোকের ৪৪ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠের ১১০ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয়েছে মণিপুরের কামজং জেলায়, দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় কম্পনটির মাত্রা ছিল ৪.১। উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬৬ কিলোমিটার গভীরে।
বুধের সকালের এই কম্পন উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও অনুভূত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। অসম, মেঘালয় এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভূমিকম্পের কারণে মণিপুরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমন নানা ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, থৌবাল জেলার ওয়াংজিং লামডিঙের একটি স্কুলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। স্কুলটিকে গোষ্ঠীহিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণশিবির হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইম্ফলের সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যে নির্মাণকাঠামোয় কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা যাচাই করে দেখছি।’’ তবে মণিপুর ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই ভূমিকম্প হয়েছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। সেই কম্পন অনুভূত হয়েছিল বাংলাদেশ ও ওড়িশাতেও। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে তিব্বতে নেপাল সীমান্তের কাছে তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। ওই ভূমিকম্পে তিব্বতে অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছিল শিলিগুড়ি, সিকিম এবং উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চলে।