গতবছরের ১২ অক্টোবর খুন হন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। ফাইল চিত্র।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি অথবা তাঁর পুত্র জিশানকে খুন করতে পারলে ১০-১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আর এই নির্দেশ দিয়েছিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই। সিদ্দিকি খুনে ধৃত মূল শুটারকে জেরা করতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি মুম্বই পুলিশের। অভিযুক্ত শুটার শিবকুমার গৌতমের আরও দাবি, ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ এবং দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্যই খুন হতে হয়েছে এনসিপি নেতাকে।
মুম্বই পুলিশের চার্জশিটে শুটার শিবকুমারের এই স্বীকারোক্তিকে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত শুটার গৌতম জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনি এবং তাঁর সহযোগী ধর্মরাজ কাশ্যপকে ১০-১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যার জন্য কী ভাবে কত দিন ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা-ও জানিয়েছেন গৌতম। কয়েক মাস ধরে সিদ্দিকি এবং তাঁর পুত্রের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এমনকি সিদ্দিকির বাড়ি এবং কার্যালয়েও রেকি করা হয়।
এই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত শুভম লোনকরই এই হামলার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুটার গৌতমের দাবি, প্রথমে তাঁদের কাজ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, একটা কাজ করে দিতে পারলে ওই টাকা দেওয়া হবে। লোনকরকে কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় তখন তিনি জানান, বাবা সিদ্দিকি অথবা তাঁর পুত্র জিশানকে খুন করতে হবে। এই তথ্যটুকুই তাঁদের দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি অভিযুক্ত শুটারের। খুনের আগে নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগ রাখতেন বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। কী করতে হবে সেখানে নির্দেশ দেওয়া হত।
গত বছরের ১২ অক্টোবর বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বিশ্নোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। ওই গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিদ্দিকি খুনে মূল শুটার-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy