নিরাপত্তার ঘোরাটোপে অযোধ্যা। শনিবার। ছবি: পিটিআই
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি পাবে মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’। বিতর্কিত অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শনিবার এই রায় দিয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় বলে আদালত সূত্রে খবর।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাই। তবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব।’’ তবে কাউকে কোনও প্রতিবাদ-প্রতিরোধের রাস্তায় না যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন জাফরাইব। অন্য দিকে হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বরুণ কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘এটা ঐতিহাসিক রায়। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।’’
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। রায় পড়ে শোনান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মূল বিতর্কিত জমি পাবে ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’। এই জমিতে মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। তবে কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। ওই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই থাকবে বিতর্কিত মূল জমি। কী ভাবে, কোন পদ্ধতিতে মন্দির তৈরি হবে, তারও পরিকল্পনা করবে ট্রাস্ট।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে স্নাতক রঞ্জন গগৈয়ের হাতেই ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলার অবসান
অন্য দিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও জায়গায় ওই জমির বন্দোবস্ত করতে হবে সরকারকে।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে স্নাতক রঞ্জন গগৈয়ের হাতেই ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত মামলার অবসান
আরও পড়ুন: স্বাগত জানাল হিন্দু পক্ষ, খুশি নয় সুন্নি বোর্ড, তবে শান্তিরক্ষার আহ্বান সব পক্ষেরই
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবরের সেনাপতি মির বাকিই যে মসজিদ তৈরি করেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তবে সেটা কোন সালে, তা নির্ধারিত নয় এবং তারিখ গুরুত্বপূর্ণও নয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের খননে অন্য কাঠামোর প্রমাণ মিলেছে। তবে সেই কাঠামো থেকে এমনও দাবি করা যায় না যে, সেগুলি মন্দিরেরই কাঠামো। আবার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে শীর্ষ আদালত বলেছে, শুধুমাত্র বিশ্বাসের ভিত্তিতে কোনও অধিকার দাবি করা যায় না। জমির মালিকানা আইনি ভিত্তিতেই ঠিক করা উচিত।
আগের লাইভ আপডেট:
• বিতর্কিত জমিতেই মন্দির নির্মাণ হবে ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে
• বিতর্কিত জমি তুলে দেওয়া হবে বোর্ড অব ট্রাস্টের হাতে
• কেন্দ্রকে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়
• ওই জমি পাবে ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’
• শর্তসাপেক্ষে মূল বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা
• সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অধিকার দাবি করতে পারে না
• আইনি ভিত্তিতেই জমির মালিকানা স্থির করা উচিত: সুপ্রিম কোর্ট
• বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়
• তবে কাঠামো থেকেই কোনও দাবি করা যায় না
• হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল
• কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে: রঞ্জন গগৈ
• তারা সেখানে মসজিদ তৈরি করতে পারবে
• অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে
• বিকল্প জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
• আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, সেগুলি নন ইসলামিক
• এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় যুক্তিযুক্ত ছিল
• মসজিদের নীচে কাঠামো ছিল
• ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ, বললেন প্রধান বিচারপতি
• তবে এএসআই এ কথা বলেনি, যে তার নীচে মন্দিরই ছিল
• নির্মোহী আখড়ার দাবিও খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
• কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, রায়ে বললেন প্রধান বিচারপতি
• বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, বললেন প্রধান বিচারপতি
• সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি
• শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
• ১০:৩০ রায় পড়তে শুরু করলেন প্রধান বিচারপতি
• ১০.৩০ রায়ের কপিতে সই করলেন বিচারপতিরা
• সিল করা খামে রায়ের কপি এল এক নম্বর ঘরে
• সব পক্ষের প্রতিনিধি এবং আইনজীবীদের ভিড়ে ঠাসা এক নম্বর ঘর
• ১০:২০ এক নম্বর ঘরে ঢুকলেন বিচারপতিরা
• ১০.১৫: খুলে দেওয়া হল এক নম্বর ঘর
• রায় দান হবে সুপ্রিম কোর্টের ১ নম্বর ঘরে
• শীর্ষ আদালতে রায়দানের প্রস্তুতি শুরু
• সকাল ১০টা: সুপ্রিম কোর্টে পৌঁঁছলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
• ইন্টেলিজেন্স ব্য়ুরো (আইবি)-র প্রধান অরবিন্দ কুমার-সহ শীর্ষ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা আধিকারিকরাও উপস্থিত বৈঠকে
• বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল
• নিজের বাসভভনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
• কোনও রকম গুজবে কান দেবেন না, আর্জি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের
• শান্তি বজায় রাখুন, রায় যাই হোক, জয়-পরাজয়ের কোনও বিষয় নেই, রায়ের আগেই আর্জি জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
• সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন
Adhir Ranjan Choudhary,Leader of Congress in Lok Sabha: Hum shaanti ke paksh mein shuru se hain, main barabar shanti ka pujari hoon. We all should abide by the verdict of the Supreme Court. #AyodhyaJudgment pic.twitter.com/oetB5LVw5V
— ANI (@ANI) November 9, 2019
जैसा कि आप सबको पता है, अयोध्या मामले पर आज उच्चतम न्यायालय का फैसला आने वाला है। इस घड़ी में न्यायालय का जो भी निर्णय हो, देश की एकता, सामाजिक सद्भाव, और आपसी प्रेम की हज़ारों साल पुरानी परम्परा को बनाए रखने की ज़िम्मेदारी हम सबकी है । #AYODHYAVERDICT
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) November 9, 2019
मानवता और संविधान भी हमारा धर्म है। हमें एकता,भाईचारे और प्रेम के साथ अपना हर धर्म निभाना है।
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) November 9, 2019
जो भी फ़ैसला हो उसका आदर करते हुए हर हिंदुस्तानी का फ़ैसला शांति,एकता व अहिंसा के मार्ग पर चलने का ही होगा।
आओ मिलकर दुनिया को दिखा दें “ये गांधी का देश है,यहाँ एकता का परिवेश है”।
Ahead of #AyodhyaVerdict, appeal to everyone to accept the judgement of Honourable #SupremeCourt. Let us continue to live in peace and harmony. The spirit of brotherhood is the hallmark of our secular fabric.
— Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) November 9, 2019
গত ৬ অগস্ট থেকে কোনও বিরতি ছাড়া টানা শুনানি চলেছে অযোধ্যা মামলার। তার পর ১৬ অক্টোবর রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। অবশেষে শুক্রবার আচমকাই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আজ শনিবার রায়দানের কথা। তার আগে নিজের চেম্বারে ডেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
গামী ১৭ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রঞ্জন গগৈ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার আগেই তিনি অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়ে যেতে চান। সেই অনুযায়ী তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে প্রতিদিন শুনানি হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর এই মামলার শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রাখেন প্রধান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy