Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Ayodhya Case

রায় নিয়ে কাটাছেঁড়া কেন! সব সময়ের উপর ছেড়ে দিন

রায় নিয়ে আপত্তি থাকলে, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে শীর্ষ আদালতের আবেদন জানানোই যায়। এ ক্ষেত্রেও মামলাকারীদের একটি পক্ষ তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেছে বলে জেনেছি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য (কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি)
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫৯
Share: Save:

সময় লাগল অনেকটাই। তবে অবশেষে স্বস্তি এল। এত দিন পর অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হতে দেখে সত্যি ভাল লাগল। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে অনেকেই নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। তবে সত্যি বলতে কী, আদালতের সিদ্ধান্তে আমি অন্তত খুশি হয়েছি। রায় কার পক্ষে গেল, আর কার পক্ষে গেল না, সেই তর্কে যেতে চাই না। তবে বছরের পর বছর ধরে এই চাপা উত্তেজনা, একটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতি, বিচারপতির পরিবর্তন, সাক্ষী বদল, এই সব থেকে শেষমেশ মুক্তি পাওয়া গেল।

আজকের রায় নিয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে। একটি কমিটি গড়ে কেন বিতর্কিত ওই জায়গার সুষ্ঠু বন্টন করা গেল না, এ দিন দুপুরের পর থেকে অনেকের মুখেই এই প্রশ্ন ঘুরছে। কিন্তু আমার মতে আজকের এই রায় ঐতিহাসিক। এত বছর পর যে এই একটা সিদ্ধান্তে আসা গেল, এটাই কি কম? তাই আদালতের রায়ের পোস্টমর্টেম না করে, খোলা মনে, সার্বিক ভাবে এই রায়কে সকলের স্বাগত জানানো উচিত বলে মত আমার।

আদালতের রায় ঠিক হোক বা ভুল, যত ক্ষণ পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে, দেশের প্রতিটি নাগরিক তা মানতে বাধ্য। দেশে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখতেই এ নিয়ে ঝামেলা বাধানো উচিত নয়। বরং আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে কার্যকরী হয়, এবং দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ না বাধে, তার জন্যই আজকের এই রায় মেনে নেওয়া উচিত।

রায় নিয়ে আপত্তি থাকলে, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে শীর্ষ আদালতের আবেদন জানানোই যায়। এ ক্ষেত্রেও মামলাকারীদের একটি পক্ষ তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেছে বলে জেনেছি। আইনি প্রক্রিয়া মেনে এগোতেই পারেন ওঁরা। আদালত নিশ্চয়ই আবার রায় দেবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তা না হচ্ছে, শীর্ষ আদালতের রায়ই মেনে চলতে হবে আমাদের।

আরও পড়ুন:মসজিদ ধ্বংস বেআইনি ছিল, তবু জমি পেলেন রামলালা: কোন যুক্তিতে জেনে নিন
আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায়ে খুশি নয়, তবে পাল্টা আবেদন করবে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড

অযোধ্যা মামলার রায় সামনে আসতে একটি অংশ আবার রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ কষতে শুরু করে দিয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর মন্দির-মসজিদের রাজনীতিতে কারা এগিয়ে যাবেন, কারা খানিকটা হলেও পিছিয়ে পড়বেন তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলছে। তবে আমার মতে, এখনই এসব না করে ধৈর্য্য ধরুন। সময় সব বলবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Ayodhya Case Babri Masjid Ram Janmabhoomi Ayodhya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy