উত্তরাখণ্ডে আবার তুষারধস হতে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ মিটার উপরে চমোলী, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথোরাগড়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা। প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি জেলাতেও রয়েছে তুষারধসের সতর্কতা। সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের চণ্ডীগড়ের ডিফেন্স জিওইনফরমেটিক্স রিসার্চ এস্টাব্লিশমেন্ট (ডিজিআরই)। গত সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডের চমোলীতে তুষারধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিলেন বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)-এর আট শ্রমিক।
উত্তরাখণ্ডের চমোলী, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথোরাগড়ে কমলা সতর্কতা, উত্তরকাশী জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হিমাচলের চাম্বা, লাহৌল স্পিতি, কুলু, কিন্নরেও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কিছু জায়গায়ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাশ্মীরের গান্দেরবাল, বারামুলা, কুপওয়ারা, রাজৌরি, পুঞ্চে এবং লাদাখের কার্গিলে তুষারধস হতে পারে বলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত সপ্তাহে বিআরও-র একটি শিবিরে তুষারধস নামে। সে সময় সেখানে ছিলেন প্রায় ৬০ জন শ্রমিক। উদ্ধারকাজে নামেন রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য, সেনা, বায়ুসেনার জওয়ান। উদ্ধারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ জন। সে সময় তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নীচে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয়েছিল ৩৩ জনকে। ১ মার্চ আরও ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। আট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও ওই এলাকায় ৩ ফুট বরফ জমে রয়েছে। এর মধ্যে জারি হয়েছে তুষারধসের সতর্কতা।