আবার জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার গভীর রাতে ডোডায় একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে চলে গুলির লড়াই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই হামলার ঘটনায় দু’জন সেনাকর্মী আহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক কালে এই নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার তৃতীয় ঘটনা ঘটল। ডোডা জেলার সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে কাঠুয়া জেলার হিরানগরীতে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় একদল জঙ্গি। সেই ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে খবর। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ডোডা জেলার সেনাছাউনিতে হানা দেয় সন্ত্রাসবাদীরা। জম্মু ও কাশ্মীর জ়োনের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার আনন্দ জৈন দু’টি ঘটনার কথাই জানান।
আনন্দের কথায়, ‘‘মঙ্গলবার রাতে কাঠুয়া এবং ডোডায় জঙ্গিরা জোড়া হামলা চালায়। ডোডার ছত্তরগালা এলাকার সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে তারা। তবে পাল্টা জবাব দেয় সেনারা। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলছে।’’
কাঠুয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনন্দ। একই সঙ্গে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে পাক-যোগের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। নাম না করে পাকিস্তানের উদ্দেশে আনন্দ বলেন, ‘‘আমাদের শত্রু প্রতিবেশী সব সময় আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। কাঠুয়ায় আমরা এক জন জঙ্গিকে মেরেছি। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।’’ জঙ্গিদের খুঁজতে ড্রোনের ব্যবহারও করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
গত তিন দিনে এই জম্মু ও কাশ্মীরে তৃতীয় জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দিন দু’য়েক আগে জম্মুর শিবখড়ি মন্দির থেকে কাটরায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরের উদ্দেশে যাওয়া তীর্থ যাত্রীবোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলার জেরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় ১০ জন পুণ্যার্থীর। পর পর জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে প্রশাসন। রবিবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ) তদন্তভার গ্রহণ করেছে। তার মধ্যেই একই রাতে ঘটে গেল দুই পৃথক জঙ্গি হামলার ঘটনা।