গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিহারে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬৫ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও। দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত বিহারে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কেবল বিহারের নালন্দাতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সবিস্তার খবর এলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিহার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে নালন্দা ছাড়াও রয়েছে সিওয়ান, কাটিহার, দ্বারভাঙা, বেগুসরাই, ভাগলপুর এবং জেহানাবাদ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের পরিবারপিছু চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবের অবশ্য দাবি, দুর্যোগে কেবল সে রাজ্যেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পটনায় ৪২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শহরের বহু জায়গায় জল জমেছে। শুক্রবারও বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলায় দুর্যোগের জেরে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে রাজ্যের ফতেপুর, আজমগড়, ফিরোজ়াবাদ, কানপুর, কনৌজ, অমেঠী, গোন্ডা, গাজিপুর এবং উন্নাও। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারপিছু চার লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুর্যোগে চাষের জমির কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রশাসনকে তা জরিপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জলমগ্ন এলাকা থেকে দ্রুত জল নামানোর বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন:
ঝাড়খণ্ডে বাজ পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জনই প্রবীণ নাগরিক। সে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ডালটনগঞ্জ (৩১.৮ মিলিমিটার)-এ। রাজধানী রাঁচীতে হয়েছে ৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। ধানবাদ, কোডারমা, হাজারিবাগের বহু জায়গায় গাছ উপড়ে যান চলাচল ব্যহত হয়। শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসম এবং অরুণাচল প্রদেশে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। ধুলোঝড় বইতে পারে রাজস্থানে।