রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দুই দাবিদার রাজেশ পাইলট (বাঁ দিকে) এবং অশোক গহলৌত (ডান দিকে)। আজ সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল গাঁধী।
মধ্যপ্রদেশের জট খুলেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পরের পর বৈঠক করেও রাজস্থানের সঙ্কট কাটেনি। গহলৌত নাকি পাইলট— সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার ফের বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। অন্য দিকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনও আজই হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে।
তারুণ্য নাকি অভিজ্ঞতা? মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে এই প্রশ্নেই বৃহস্পতিবার দিনভর দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে বৈঠকের পর বৈঠক হয়। সনিয়া গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা বঢরার সঙ্গেও কথা বলেন রাহুল গাঁধী। শেষ পর্যন্ত রাতের দিকে মধ্যপ্রদেশের সমাধান সূত্র মেলে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং কমল নাথের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে শেষ পর্যন্ত প্রবীণ ও অভিজ্ঞ কমল নাথকেই মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু রাজস্থানের ক্ষেত্রে সচিন পাইলট এবং অশোক গহলৌতকে নিয়ে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মেটানো যায়নি। সূত্রের খবর, সনিয়া গাঁধীর পছন্দ অশোক গহলৌত। রাহুলও তাতে কিছুটা সায় দিয়েছেন। কিন্তু সচিন পাইলটকে এখনও বোঝানো যায়নি। ধৈর্য ধরলে নবীনরাও উপযুক্ত মর্যাদা পাবেন। এই আশ্বাস দিয়ে জ্যোতিরাদিত্যকে বোঝানো গেলেও তাতে এখনও পাইলটের মন ভেজেনি বলেই কংগ্রেসের অন্দর মহল সূত্রে খবর। তিনিও শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের, সেই খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেছেন তিনি। কর্মীদের উজ্জীবিত করে, একজোট করে ব্যাপক সাফল্য নিয়ে এসেছেন মরু রাজ্যে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, ধৈর্য-অস্ত্রে জট খুলছেন রাহুল
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে তৎপরতা। সূত্রের খবর, শুক্রবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল। বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজস্থানে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কে সি বেনুগোপাল। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার পর তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ কাজ নয়। শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের ‘জবাব’ দিয়ে খুশি অলওয়ার
অন্য দিকে ছত্তীসগঢ়ের নেতাদেরও ডেকে পাঠিয়েছেন রাহুল গাঁধী। রায়পুর থেকে দিল্লিতে উড়ে এসেছেন দৌড়ে থাকা ভূপেশ বাঘেল এবং টি এস সিংহদেও। সূত্রের খবর, হাই কম্যান্ডের পছন্দ ভূপেশ বাঘেল হলেও টিএস সিংহদেও-এর পক্ষেও সমর্থন রয়েছে একটা বড় অংশের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। ফলে ছত্তীসগঢ়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াও রাহুলের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy