চন্দ্রশেখর এবং অখিলেশ। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশই ‘ভিড়’ বাড়ছে সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র নেতৃত্বাধীন জোটে। এ বার জোট জল্পনা উস্কে দিয়ে সপা প্রধান অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সপা-র নেতৃত্বাধীন জোটে চন্দ্রশেখরের দল আজাদ সমাজ পার্টির সমঝোতা হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।
অন্য দিকে, শুক্রবারই মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির প্রবীণ বিধায়ক রামবীর উপাধ্যায় সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। হাথরস জেলার এই নেতা ছিলেন বিএসপি-র অন্যতম ব্রাহ্মণ ‘মুখ’।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে দলিত নেত্রী মায়াবতীর দল বিএসপি এখনও সক্রিয় হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অখিলেশের জোটে চন্দ্রশেখর যোগ দিলে দলিত ভোটের একাংশ সে দিকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সে ক্ষেত্রে চাপে পড়বে বিজেপি।
চন্দ্রশেখরের গড়া সংগঠন ভীম আর্মি বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। উত্তর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। শাহিনবাগ সমাবেশে যোগ দিয়ে জেলেও গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজনৈতিক দল আজাদ সমাজ পার্টি গড়েন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে অখিলেশের দলে শামিল হয়েছেন তিন গুরুত্বপূর্ণ অনগ্রসর নেতা— স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, দার সিংহ চৌহান এবং ধর্ম সিংহ সাইনি। রোশনলাল বর্মা, ভগবতীপ্রসাদ সাগর, ব্রিজেশ প্রজাপতি, বিনয় শাক্য, মুকেশ বর্মা-সহ একাধিক বিজেপি বিধায়কও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে সপা-য় যোগ দেন। ওই কর্মসূচিতে কোভিডবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy