দলের মধ্যে বিভাজনের কোনও রকম বার্তা গেলে সেটা রেয়াত করবেন না রাহুল গাঁধী। দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
সদ্য তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরে দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব ঠেকাতে মরিয়া রাহুল। সেই কারণে রাজস্থানে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটাতে তাঁকে ময়দানে নামতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে নিয়ে বৈঠক করে কংগ্রেস সভাপতি বিবাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। বিবাদের মূল বিষয় ছিল অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দফতর কার হাতে থাকবে। ন’টি দফতর থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এবং পাইলট পাচ্ছেন পূর্ত-সহ পাঁচটি দফতরের দায়িত্ব।
রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের সময়েও পাইলট নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করতে হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে অবশ্য কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করলেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে রাজ্য সরকারে পদ দেওয়া হয়নি। ছত্তীসগঢ়ে যে পাঁচ জন প্রবীণ নেতা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার ছিলেন, বৈঠক করে তাদের এক জনকে বেছেছেন রাহুল।
এত কিছু সত্ত্বেও ওই তিন রাজ্যে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব থামেনি। মধ্যপ্রদেশেও মন্ত্রী করা নিয়ে দিগ্বিজয় সিংহ ও কমল নাথদের সঙ্গে সিন্ধিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যেও টানাপড়েন ছিল। রাহুলকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এমনকি, রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর হাতে কোন দফতর থাকবে, তা ঠিক করতে মধ্যরাতে বৈঠক করতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy