প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শহরে কাজ পাইয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীকে প্রথমে বিক্রি করা হল, তার পর তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠল অসমে। তিন জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি অসমের ডিব্রুগড়ের।
তরুণীর অভিযোগ, ডিব্রুগড় জেলায় লক্ষ্মী নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। অনেক দিনেরই পরিচয় ছিল তাঁদের। লক্ষ্মী বিবাহিতা। হরিয়ানার জিন্দের বাসিন্দা বলজিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তরুণী লক্ষ্মীকে একটা কাজ খুঁজে দিতে বলেছিলেন। লক্ষ্মীও না কি জানিয়েছিলেন, তিনি যদি শহরে কাজের জন্য রাজি থাকেন, তা হলে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীর প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করে তরুণী রাজিও হয়ে যান। তার পর তরুণীকে হরিয়ানার জিন্দে নিয়ে যান লক্ষ্মী। সেখানে কিছু দিন এক জায়গায় রাখার পর তরুণীকে কবিতা নামে এক মহিলার কাছে নিয়ে যান। তরুণীর অগোচরে করিতার কাছে তাঁকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে চম্পট দেন লক্ষ্মী। তখনও তরুণী জানতে পারেননি যে, তিনি কত বড় বিপদে পড়েছেন। তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
দিন কয়েক কবিতার বাড়িতে থেকে কাজ করেন তরুণী। তার পর গত ৩ জুন তরুণীকে অন্যত্র কাজের টোপ দিয়ে সন্দীপ ওরফে কালা নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যান কবিতা। তার পর তাঁকে জোর করে সন্দীপের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ান। বিপদে পড়েছেন দেখে তরুণী পালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তার পর সেই সুযোগ আসতেই সন্দীপের বাড়ি থেকে পালিয়ে ডিব্রুগড় ফিরে আসেন। তার পর লক্ষ্মী, কবিতা এবং সন্দীপের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, মানবপাচার-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy