Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Farm Bills

কৃষক বিক্ষোভ, ক্ষোভের মুখে অসম সরকার

অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করে বলে, জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা বিজেপি রাজ্যের জমি নাগাড়ে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৩৩
Share: Save:

দিল্লিতে যখন কৃষক আন্দোলনে জেরবার কেন্দ্রীয় সরকার তখনই অসমেও মাথাচাড়া দেওয়া কৃষক আন্দোলনেনাজেহাল দিসপুর। রাজ্য সরকার নগাঁও জেলার বামুনি মিকির গ্রান্ট এলাকায় বিস্তীর্ণ জমি একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে। এ দিকে গত দুই দশক ধরে ভূমিপুত্র কৃষকেরা ওই জমিতে চাষবাষ করছিলেন। প্রায় ১০০ জন কৃষক মূলত ধান ও শিমের চাষ করছেন সেখানে। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই কৃষকদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রশাসন। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা ধর্নায় বসেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালালে কয়েক জন জখম হন।

অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করে বলে, জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা বিজেপি রাজ্যের জমি নাগাড়ে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ক্রমশই দারিদ্রে ডুবছেন রাজ্যের কৃষকেরা। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র ববিতা শর্মা বলেন, সারা দেশ যখন কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছে তখন অসমে বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন

চালানো কৃষকদের উপরে লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও সর্বানন্দ সোনোয়ালদের সরকার কখনওই কৃষকদের স্বার্থ দেখেনি, দুঃখ বোঝেনি।

এ দিকে বিক্ষোভকারী এক মহিলার মৃত্যুর পরে তিনসুকিয়ার ডিব্রু-শইখোয়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত মিসিং জনজাতিদের দু’টি গ্রাম লাইকা ও দধিয়াবাসীকে শেষ পর্যন্ত পুনর্বাসন দিতে রাজি হল রাজ্য সরকার। জাতীয় উদ্যান সম্প্রসারণের জেরে জঙ্গলের জমিতে বাস করা প্রায় ১৪০০ পরিবারকে সরতে হবে। পরিবারগুলি ২১ ডিসেম্বর থেকে জেলাশাসকের দফতরের অদূরে ধর্না চালাচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় অনেক মহিলাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। এই অবস্থায় দধিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেবতী পাও (৫৬)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গত কাল মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারী তিনটি মিসিং সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন, আন্দোলকারী পরিবারগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। পরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়, সব পরিবারকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অরণ্যভূমির বাইরে নতুন জমিতে পুনঃস্থাপিত করা হবে। এ নিয়ে বনমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, রাজস্ব ও বিপর্যয় বিভাগের মন্ত্রী যোগেন মহন, পরিবেশ ও বন দফতরের সচিব, লখিমপুরের সাংসদ, ধেমাজির বিধায়ক, প্রধান মুখ্য বনপাল ও তিনসুকিয়ার জেলাশাসককে নিয়ে কমিটি গড়া হচ্ছে। পরিবারগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে প্যাকেজ তৈরির নির্দেশও দেন সোনোয়াল।

অন্য বিষয়গুলি:

Farm Bills Assam Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy