জল নামছে অসমে। ছবি— পিটিআই।
বানভাসি অসমে নামছে বন্যার জল। তবে এখনও বন্যার জলে ভাসছেন সাত জেলার প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ত্রাণশিবির ছেড়ে এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তবে এত দিন জলের তলায় থাকার পর ক্রমশ জল নেমে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্র, বসতবাড়ি থেকে। এ বার লড়াই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।
ভয়ঙ্কর বন্যায় অসমের ৩৪ জেলাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার দাপট ক্রমশ কমছে। নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবরও আসেনি বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, অসমের সাতটি জেলার ২,৯২,২৬৯ জন মানুষ এখনও বন্যার জলে ভাসছেন। তাঁদের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি সবই জলের তলায়। নতুন করে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা এখনও ১৯২-তেই আটকে। তার মধ্যে ১৭৩ জন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন, ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ধসে।
এখনও পর্যন্ত বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ন’টি জেলা হল কাছাড়, চিরাং, ডিমা হাসাও, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি, মোরিগাঁও, নগাঁও, শিবসাগর এবং তামুলপুর। কাছাড়, চিরাং, ডিমা হাসাও, মোরিগাঁও এবং তামুলপুরের মোট ৮৩টি ত্রাণশিবিরে এখনও থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ১৯,২৩৭ জন। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি শিশু।
মঙ্গলবার বন্যাবিধ্বস্ত চিরাং জেলা পরিদর্শন করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত নিজলা নদী দু’কুল ছাপিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। এ বার ক্রমশ জল নামছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধস রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy