ডেরাতেই সংরক্ষিত আছে আশুতোষ মহারাজের মৃতদেহ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।
২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে লুধিয়ানার সদগুরু প্রতাপ সিংহ অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের প্রধান আশুতোষ মহারাজ। কিন্তু তাঁকে সে দিন বাঁচাতে পারেননি চিকিত্সকরা। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেই বন্ধ হয়েছিল তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস। কিন্তু ভক্তদের আবদারে আজও তিনি ফ্রিজারে ‘সমাহিত’ রয়েছেন নিজের ডেরাতেই।
পঞ্জাবের জালন্ধর-নাকোদার রোডের উপরে ৪০ একর জমির উপর রয়েছে দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের ডেরা। সেখানে মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফ্রিজারের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে রাখাআছে আশুতোষের দেহ। আশুতোষের ২০ জন ভক্ত পালা করে পাহারা দেয় ফ্রিজারে রাখা আশুতোষের দেহকে।
প্রতি ৬ মাস অন্তর পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নিযুক্ত চিকিত্সকদের দল এসে পরীক্ষা করে দেখেন মৃতদেহে পচন ধরছে কিনা!গত ডিসেম্বরে শেষবারের মতো আশুতোষের সংরক্ষিত দেহ পরীক্ষা করেছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন: মন্দিরে বিয়ে সারলেন পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল, পাত্রী ছোটবেলার বান্ধবী
পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৪৬ সালে বিহারের দ্বারভাঙা জেলার নাখলোর গ্রামে জন্ম হয়েছিল আশুতোষের। বিয়ের ১৮ মাস পরে স্ত্রী-পুত্রকে ছেড়ে সত্পাল মহারাজের কাছে দীক্ষা নেন তিনি। শুরু হয় তাঁর সন্ন্যাস জীবন। তারপর ১৯৮৩ সালে নিজের ডেরা খোলেন তিনি।
তবে আশুতোষের এই দেহ সংরক্ষণ মনে পড়িয়ে দিচ্ছে এ রাজ্যে বালক ব্রহ্মচারীর দেহ আটকে রাখার ঘটনাকে। ফের বেঁচে উঠবেন বালক ব্রহ্মচারী, এই আশাতেই দেহ আটকে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা।যদিও পরে প্রশাসনের তত্পরতায় উদ্ধার করা হয়েছিল ব্রহ্মচারীর দেহ। আশুতোষের দেহেও একই বিশ্বাসে পাঁচ বছর ধরে সংরক্ষণ করছেন তাঁর ভক্তরা। তবে পার্থক্য একটাই, ভক্তদের দাবি মেনে আশুতোষের দেহ সংরক্ষণ করা হচ্ছে আদালতের পর্যবেক্ষণেই।
আরও পড়ুন: জমিয়ে সি-ফুড, সেলফি, গোয়ায় রাহুল সনিয়ার ছুটি হিট
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy